রক্ত পরিসঞ্চালন সতর্কতা ও করণীয়ঃ

হাত, পা অথবা চোখ ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব হলেও, রক্ত ছাড়া বাঁচার কথা কল্পনাও করা যায় না। মানবদেহে রক্ত তাই অপরিহার্য। দেহের কোষে কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয়া, কার্বন-ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য ফিরিয়ে আনা, হরমোন, লবণ ও ভিটামিন পরিবহন, রোগ প্রতিরোধ, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুতেই রক্তের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই কারও দেহে রক্তের অভাব ঘটলে তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে অন্যের রক্ত শিরার মাধ্যমে রোগীর দেহে প্রবেশ করানো তথা রক্ত পরিসঞ্চালন হয়ে ওঠে অন্যতম উপায়।
রক্তদানের যোগ্যতা :
কারা রক্ত দিবেনঃ
০ মহিলা ও পুরুষ যাদের বয়স ১৮-৪৫ বছর।
০ পুরুষ যাদের ওজন ৪৭ কেজি বা তার উর্ধ্বে, মহিলা যাদের ওজন ৪৫ কেজি বা তার উর্ধ্বে।
০ যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় আছে।
কারা রক্ত দিবেন না
০ রক্তবাহিত বা জটিল রোগ যেমন- ম্যালোরিয়া, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিক, রক্তাস্বল্পতা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ, পেপটিক আলসার, হিস্টেরিয়া, চর্মরোগ, রিউমেটিক ফিভার, হাইপারটেনশন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাদকাসক্ত, এইডস, রক্তক্ষরণ জনিত কোন সমস্যা হলে কিংবা দাঁত তুললে।
০ ৬ মাসের মধ্যে বড় সার্জারি হলে।
০ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী হলে, যাদের মাসিক চলছে।
যারা কখনোই রক্ত দিতে পারবে নাঃ
—এইচআইভি পজেটিভ রোগীরা।
—সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক নিলে।
—ক্যানসার, হৃদরোগ, বাতজ্বও, সিফিলিস (যৌন রোগ), কুষ্ঠ বা শ্বেতী রোগীরা।
—রক্তজনিত রোগীরা।

☞ হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং বাই »» স্বাধীন ইসলাম ««

Comments

Popular posts from this blog

ফিঙ্গারিং

বাঁকা লিঙ্গ সোজা করার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ টিপস

☬ রক্তদানের ১৩০ টি স্লোগান ☬