প্রতিবার রক্তদানের পূর্বে করণীয়ঃ
১. হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পূর্বে রোগীর রিলেটিভদের কল করে কনফার্ম হয়ে নিন- তাদের রক্ত লাগবে কিনা? যদি লাগে, তাহলে আপনি আসতেছেন তা কনফার্ম করা।
২. হসপিটালে যাওয়ার সময় আপনার সাথে করে ১-২ জন বন্ধু নিয়ে যান, বিশেষকরে রাতের বেলায় রক্তদানের সময় একা না যাওয়া উত্তম।
৩. হসপিটালে গিয়ে সরাসরি রোগীর অবস্থানে চলে যাওয়া এবং রোগীর রিলেটিভদের বলুন- আপনি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে আসছেন। বিনিময়ে কোন টাকা-পয়সা দেয়া লাগবেনা। বিঃদ্রঃ- হসপিটাল ব্যতিত অন্য কোথাও রোগীর রিলেটিভের সাথে দেখা করবেননা।
৪. রোগী এবং রিকোজিশান ফর্ম দেখা ছাড়া রক্ত দিবেননা।
৫. রোগীর রিলেটিভদের মধ্য থেকে কমপক্ষে ৩ জনের নাম, রক্তের গ্রুপ, ঠিকানা, শেষ রক্তদানের তারিখ লিখে নিন এবং আপনার কোন রিলেটিভদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে তাদের সাথে রক্তের গ্রুপ মিললে দিতে পারবে কিনা তা কনফার্ম করে নিন।
৬. রক্তদানের পূর্বে হালকা খাবার খাওয়া উত্তম, ভারী খাবার খেয়ে রক্তদেয়ার ফলে অনেকেই বমি করে।
৭. ওরস্যালাইন মিক্সড করে বেশি বেশি পানি পান করুন, রক্তদানের পরও পান করতে হবে।
৮. ক্রস-মেসিং এবং স্কিনিং টেষ্ট ছাড়া রক্ত দিবেননা। রক্তদেয়ার পূর্বে প্রায় আধা সিরিন্জ রক্ত নিয়ে এই পরীক্ষাগুলো করা হয়।
৯. অবশ্যই খেয়াল রাখবেন-- আপনার থেকে রক্ত নেয়ার জন্য সিরিন্জ এবং ব্লাড ব্যাগ নতুন কিনা (আগে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা) এবং ব্লাড ব্যাগের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। ব্যাগের গায়ে মেয়াদ আছে কিনা দেখে নিবেন।
১০. রক্তদানের পর কমপক্ষে ১০ মিনিট শুয়ে থাকা উত্তম। অনেকেই বাহাদুরি করে উঠে পরে, এরফলে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যায়।
১১. যে হাত থেকে রক্তদান করেছেন, কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা ঐ হাতে ভারী কিছু নিবেননা। যদি ভারী কিছু নিয়ে থাকেন, তাহলে ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে গিয়ে আপনার অথবা রোগীর যেন কোন প্রকার ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।।।
☞ হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং বাই � স্বাধীন ইসলাম �
Comments
Post a Comment