সেক্সসর্বস্ব তরুণী কথন

----------
এখনকার কলেজ,
ইউনিভার্সিটির ৯৫%
অবিবাহিত মেয়েই বেশ্যা ।
যখন আমি এ কথা
বলি
তখন কতিপয় মেয়ে
ও ছেলে আমাকে বাজে
কথা বলে অথচ এটা
দিনের আলোর মতো
পরিষ্কার যে এসব মেয়ে
বেশ্যামি করে বেড়াচ্ছে ।
এই সমাজই এইসব
বেশ্যাদের পালক ।
এই বেশ্যারাই চুষে
খাচ্ছে সংস্কৃতিটাকে ।
এইসব মেয়েরাই নিতম্ব
দুলিয়ে হেঁটে হেঁটে সমাজের
যৌনপিপাসুদের তৃষ্ণা মিটায়,
ওরা বুক থেকে ওড়না
ফেলে দিয়ে বাঙালি নারীর
হাজার বছরের সতীত্বকে
প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে ।
তাতে কার কী,
যে এর বিরুদ্ধে কথা
বলবে সে বাঙালি না,
কে তাকে প্রগতিশীল বলে ?
প্রগতিশীল হতে হলে
এদের বেড়ে ওঠার
পরিবেশ নিশ্চিত
করতে হবে ।
তারা যৌনখেলা ও
নেশা করবে।
এটা যে মানবেনা সে
আমার মতোই ছোটলোক,
গেয়ো এবং আনস্মার্ট ।
কে বলেছে মেয়েদের
নৈতিকতা ধসে যাচ্ছে ?
কে বলেছে নারী অশালীনভাবে
চলাফেরা করলে সমাজে
অশান্তি সৃষ্টি হয় ?
কে বলে বাঙালি সংস্কৃতি
ভুলে টাইট জিন্স আর
টিশার্ট কিংবা ফতুয়া গায়
দিয়ে চলা মেয়েরা নোংরা
চরিত্রের এবং কামাসক্ত ?
কে বলে এইসব কথিত
আধুনিক অর্ধনগ্ন পোশাক
পরা মেয়ে ছেলে অনৈতিক
এবং বাঙালি সংস্কৃতির জন্য
হুমকী ?
আমার মতো যে বা
যারা এই কথা বলে
সে বা তারা পশ্চাতপদ,
মধ্যযুগীয় এবং অনাধুনিক
,ক্ষ্যাত ।
এইসব মেয়েরা ছোট বেলা
থেকেই লীলাখেলায় মত্ত ।
ওটা স্টার জলসা,সেটম্যাক্স,
স্টার প্লাস,এএক্সএন
ইত্যাদি শিখিয়েছে ।
এদের আদর্শ সানি লিওন,
তার মত যৌনীকে সর্বজন
ব্যবহৃত করার মাঝেই
আধুনিকতা ও স্মার্টনেস
লুকায়িত ।
ছোটবেলা থেকেই যৌনতার
পূর্ণ স্বাদ পেয়ে যায় এরা ।
এসব মেয়ের এক
ছেলেতে হয়না,
আরো দরকার ।
নতুন সঙ্গী চাই ।
যৌনতাই জীবনের মূখ্য
হয়ে ওঠে এদের ।
এর জন্য সব বাঁধা
পেরোতে পারে এরা,
কাঁদাতে পারে অনেক
ছেলেকে,রসাতলে নেয়
সমাজটাকে,কলঙ্কিত
করে সংস্কৃতি,স্বাধীনতাকে ।
তবু সেক্স চাই,একাধিক
ছেলে চাই,
একাধিক মেয়ে চাই,
যৌনী ও লিঙ্গের সার্থকতা
তবেই ।
এই নষ্টাদের সমাজে
আজ বিশাল একটা
দাপটে অবস্থান ।
সমাজ তাদের ইসমাট,
আধুনিকা,তারকা,
গ্ল্যামারগার্ল,
লাস্যময়ী প্রভৃতি
উপাধিতে
ভূষিত করে ।
আবার এদের সঙ্গে
যেসব দুশ্চরিত্র,বেহায়া
ছেলেরা থাকে তারাও
ইছমাট,প্লেবয় ইত্যাদি
যৌনাপাধি পেয়েছে।
এদের কাছে আজ
সতীত্ব মূল্যহীন।
'ব্রেক আপ'নামের শব্দগুচ্ছ
ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার
করছে এরা কেবল নতুন
শরীরের খোঁজে ।
যৌনতার কাছে এরা
যৌবনের পাশাপাশি
জীবনকেই সমর্পন করছে ।
ভারতীয় উগ্রনষ্ট বেহায়া
ধার করা কালচার এতে
ঘি ঢালছে ।
সানি লিওন,
প্রভারা উত্‍সাহী করছে ।
আর অনৈতিক হতে
সর্বোচ্চ সমর্থন দিচ্ছে
প্রগতিশীলতার মুখোশ
পরা ভোগবাদী মিডিয়া ।
নারী অধিকারের চটকদার
বিজ্ঞাপনে নারীর শরীরকে
অনাবৃত করছে পুঁজিবাদী
সমাজ ও তাদের মুখপাত্ররা ।
ফলে নারীর খোলা শরীরকে
আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন
করে বানানো হচ্ছে
বিজ্ঞাপন ।
সে বিজ্ঞাপন বাথরুম
পরিষ্কারক থেকে শুরু
করে,মসলা,দুধ,
চিনি,বাড়ি,গাড়ি,
এপার্টমেন্ট এমন কী
শিক্ষার ।
পারফিউমের বিজ্ঞাপনে
পশুর চেয়ে নিকৃষ্টভাবে
কামুক হিসেবে নারীকে
উপস্থাপন করা হয় ।
এসব দেখে এরা
কামাসক্ত হয়,
হায়রে মাতৃজাত নারী!
এই তোমাদের অবস্থান !
পুঁজিবাদীদের জালে এভাবেই
ঝাঁপিয়ে পড়লে তোমরা ।
জানি তোমাদের এ
কথা বলায় আমি হয়ে
গেছি পিছিয়ে পড়া
অনাধুনিক,ছোটলোক,
গেঁয়ো,আনস্মার্ট ।
তবুও আমাকে বলতে
হবে তুই ও তোরা
বেশ্যা ।
তুই ও তোরা ও
তোদের যারা সাপোর্ট
দিচ্ছে তাদের
প্রত্যেকটাই ইতিহাসের
আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত
হবি ।
যোনীটাকে খাল বানিয়ে
তোরা যে শুধু মা
জাতিকে অপমান
করছিস তা না ।
তোরা এই দেশ,সমাজ
ও ভাষা ঐ স্বাধীনতাকে কলংঙ্কিত
করছিস ।
তোদের দেখে
শহীদদের আত্মারা
কেঁদে ওঠে,কেঁপে ওঠে
বাংলাদেশ ।
তোদের ক্ষমা নাই ।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা রক্ষার এ
সংগ্রাম,এ লেখালেখি
চলছে,চলবে ।

Comments

Popular posts from this blog

ফিঙ্গারিং

বাঁকা লিঙ্গ সোজা করার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ টিপস

☬ রক্তদানের ১৩০ টি স্লোগান ☬