যে চিঠি কোনদিন পৌছাবেনা গন্তব্যে-০৩
____________
প্রিয় রূপা,
কেমন আছো ?
নিশ্চয়-ই ভালো ।কারন ভালো থাকাই তো তোমার স্বভাব ।
আমি আগে যেমন ছিলাম-
আজো তেমনই আছি ।
ঠিক কোন কারনটাকে তুমি
শেষ পর্যন্ত বড় করে দেখে চলে গিয়েছিলে সেটা আজো
বুঝতে পারিনা আমি ।
প্রত্যেকটা সম্পর্কই মনে হয়
এভাবে কিছু কথা না বলা থাকতেই শেষ হয়ে যায় ।
কিন্তু এটাকে কি শেষ
হওয়া বলে !
চোখের সীমানা থেকে হয়তো
বহুদূরে তুমি চলে গেলে,
তুমwি এখন অন্য
কোথাও সুখের খোঁজ করছো, অথবা আমাকে ভুলে যাবার
জন্য হলেও অন্য একটা বুকে
তুমি মাথা ঠেকিয়েছো !
কিন্তু তাতেই কি শেষ হয়ে
যায় সব !
নাহ...কখনোই না ।
এই যে বুকের ভিতরের
প্রতিটি স্পন্দনের সাথে
তোমাকে মনে পড়ে,
এটাকে তুমি কিভাবে
নিয়ে যাবে ?
কিভাবে নিয়ে যাবে আমার
হাতের তালুতে ঝলমল করা
তোমার স্পর্শ ?
বিচ্ছেদ বা দূরত্বের মাধ্যমে
কিছুই শেষ হয়ে যায় না রূপা ।
হ্যা রূপা,
তোমার কাছে আমি এখন
অতীত ।
তোমার মতো করে সুখের
পাগল হওয়ার আগ পর্যন্ত তুমি আমার হৃদয় চিত্তে বর্তমান হয়ে রবে নীরবে ।
গত প্রায় ৩ টি বছর তোমার অপেক্ষায় আছি!
মনের খুব গভীর বিশ্বাস ছিলো সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে । আবারও তুমি
আমার জন্য পাগল হয়ে যাবে । আমাকে দেখার আশায় মাতাল
হয়ে ছুটে আসবে ।
এই বিশ্বাসের প্রতি আমার
এক ধরণের অন্ধত্ব ছিলো রূপা ।
কিন্তু তুমি সত্যিই
প্রমাণ করে দিলে-
আমি আসলেই অন্ধ ছিলাম সবসময় !
তাই তোমাকে চিনতে পারিনি কখনো ।
তুমি শেষপর্যন্ত ভুলেই
গেলে আমাকে !
শেষ পর্যন্ত আমি অসীম
শূণ্যতায় পড়ে গেলাম !
মানতে কষ্ট হয়।
তুমি বুঝতে পারোনি আমি
এতো বেশি পরিমাণ শূণ্য হয়ে যাবো,তাই না ?
ভালোবেসে দিনে রাতে দুঃখের ছড়াছড়ি,
আমার যে কথাটা তোমাকে বিরুক্তির চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতো তোমাকে শেষ সময়ে
আজো সেই কথাটা তোমাকে
বলি-
আমি এখনও তোমাকে ভালোবাসি ।
তুমি আমার কাছে আগের
সেই মানুষটাই আছো-
আমার প্রিয়তমা,আমার
স্বর্গের হুর,স্বর্গীয় ঐশ্বর্যের
অধিকারিনী ।
আমার জন্য তোমার যে
অস্থিরতা ছিলো,
যে আকুলতা ছিলো-
তা অভিনয় না,প্রহসনও না ।
কিন্তু তা যে কি,
তা অবশ্য আমি জানিনা ।
হয়তো তুমিও জানোনা...
জানি,
কোনো পথ বা সম্ভাবনাই
আর তোমাকে আমার কাছে আনতে পারবেনা ।
তবুও আমি তোমাকেই
অনুসরণ করবো ।
তোমার নি:শ্বাসের ঘ্রাণে
মাতাল হওয়ার বিলাসী
স্বপ্ন আজ আর নেই ।
তবুও তোমার ছায়া দেখার
লোভ আমার রয়ে গেছে...
জানি একদিন না একদিন,
আমার সমস্ত কাব্য,গল্প,
উপন্যাস তুমি পড়বেই,
তোমার আলো আমার এই
আঙিনায় আসবেই ।
কিছুই শেষ হয়না,
তুমি ধরেই নিয়েছো-
সব শেষ। কিন্তু না ।
কিছুই শেষ হয়নি ।
তবে থেমে গেছে চিরদিনের
জন্য ।
-
তোমার আমার স্বর্ণালী দিনেরা
ভালোই ছিলো-আছে এবং থাকবেও ।
আমাদের দিনগুলোকে আমরা
আর হেলায় কষ্ট দিবোনা । দিনগুলো তোমার আমার
অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি
পেলো...
দিনেদের জন্য তাই অনেক
ভালো লাগা ।
একটু ভেবে দেখো-
কতোগুলো অসম্ভব ভালো
দিন গেছে ।
প্রথম দিনটার কথাও মনে
করে দেখো সময় পেলে ।
প্রথম বৃষ্টিময় সেহরীর সেই
রাতের কথা মনে করে
দেখো ।
প্রথম পাশাপাশি হাঁটার কথা । প্রথমবার আমার হাত থেকে
চিঠি,চকলেট,গিফট নেওয়ার
কথা ।
সময় পেলে একটু ভেবো-
আমার তোমার থেমে
যাওয়া দিনেরা কেমন
আছে,কেমন ছিলো...
খুবই ভালো লাগবে দেখো ।
তোমার মন খারাপের
দিনগুলো একটু হলেও
সান্ত্বনার প্রলেপ পাবে...
জানো তো,
সুখ-দুঃখ একই মুদ্রার দুটি
পিঠ ।
ও রূপা,
আমি মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে,ভালো থাকতেই তুমি আমাকে ছেড়ে গেছো ।তখন মনে হয় তুমিও আমার মতো কষ্টে আছো আমাকে ভেবে!
তোমার চলে যাওয়া আমি ভুলে যাই কিন্তু কোনভাবেই তোমাকে ভুলতে পারছিনা ।
বিংশ শতাব্দীতে নাকি শোকের বয়স বড়জোর ১ বছর থাকে ।
কিন্তু আমার কেন যেনো মনে হয় মাত্র এক বছরের প্রেমের স্মৃতি তোমাকে আমার মাঝে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবে ।
তোমার সেইদিনগুলির কথা
মনে আছে রূপা যেদিন আমি
তোমাকে পাঁচ পাঁচটা টাটকা
লাল গোলাপ দিয়েছিলাম ?
তুমি বলেছিলে,
আবিদ একটা দাও ।
আমি বলেছিলাম,
একটা না,পাঁচটাই দিবো ।
পাঁচটা গোলাপ দিলে নাকি
সেই মেয়ে কেনা হয়ে যায়,
কোনদিন হারিয়ে যায় না ।
তুমি বলেছিলে,
আমি কোনদিন হারাবো না
আবিদ ।গোলাপ না দিলেও
হারাবো না ।
তবুও তো হারিয়ে গেলে রূপা !
আমার এখন ভীষণ মনে হয়,
সেদিন সেই গোলাপগুলি তুমি
হয়তো বাসা অবধি না নিয়ে
আমার গোলাপগুলি তুমি
অন্য কাউকে দিয়েছিলে !
দিতেও পারো ।
তখন বিশ্বাস হতোনা,
এখনো হয়না কিন্তু জোর
করে নিজেকে বিশ্বাস করাই ।
তোমার ছলাকলা ভুলে শুধু
তোমার ভালবাসাটাই আমি
মনে রেখে যেতে চাই ।
হেলায় ফেলায় কতটা সময়
পার হয়ে গেছে তাই না ?
আমার এখনো বিশ্বাস হয়না
রূপা,তুমি চলে যেতে পারো ।
সবকিছুকে এভাবে ফেলে তোমার চলে যাওয়াটা আসলে বড্ড বেমানান ।
এভাবেই হয়তো একদিন দিন,
বছর,যুগ কেটে যাবে,তুমিহীনা !
কিন্তু কেন যেনো মনে হয়,
বিশ্বাস করো আমার বিশ্বাসটা
প্রবল,তুমি আসবে আবার ।
কিন্তু কিভাবে যে আসবে আমি
হিসাব মেলাতে পারিনা ।
আমার অবচেতন মন হয়তো
আমাকে সান্তনা দেয় ।
আবার কি আসবে রূপা ?
হাহাহা ।কি বোকা আমি !
তোমাকে একটা বেলিফুলের
মালা দেওয়ার কথা ছিল,
দেওয়া হয়নি ।
আবার যদি কোনদিন দেখা
হয় দিবো অথবা একগুচ্ছ
কদম হাতে তোমার সাথে
ভিজবো ।
আমার সাথে বৃষ্টিতে ভেজার
তোমার খুব ইচ্ছা ছিল,মনে
নেই ?
আমাকে কি সত্যিই তুমি ভুলে
যেতে পারবে রূপা ?
আমাকে মনে করে কি কোনদিন
বইয়ের পাতার ঘ্রাণ নিবে না যে বইগুলি তোমাকে আমি দিয়েছিলাম ?
আমার দেওয়া চুড়িগুলি আর
টিপগুলি কি কোনদিন পরবেনা?
ঝিরঝির বৃষ্টিতে হুমায়ূনের কোন বই নিয়ে বসলে কি আমাকে তোমার মনে পড়বেনা?
আয়নাতে যখন মুখ দেখবে,চোখে কাজল নিবে তখন কি আমায় মনে পড়বেনা ?
কলিজা ভুনার ঘ্রাণ কি আমায় মনে করিয়ে দিবেনা ?
হয়তো পড়বে,হয়তো পড়বেনা।
জীবন চলবে জীবনের নিয়মে।
অনেকটা দিন হয়ে গেল
তোমার কোন অস্তিত্ব আমার
জীবনে নেই !
না না ভুল বললাম ।
অস্তিত্ব অবশ্যই আছে ।
হাঁটতে-চলতে,খাইতে-শুতে
২৪ টা ঘন্টাই তো তুমি
চিন্তাজগত দখল করে আছো
শুধু মানুষটা তুমি নেই !
আমার অনেক কথা
বলার আছে রূপা ।
আমি প্রতিটা দিন কথাগুলোকে কত রকমেই না সাজাই ।
কখনো প্রচণ্ড অভিমানে,
কখনো বা প্রচণ্ড ক্ষোভে ।
তোমাকে এখন অনেক বেশি
ঘৃণা করি আমি রূপা !
বিশ্বাস করো,
এখনো মাঝে মাঝে
দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে যাই-
আসলেই কি আমি তোমাকে
ঘৃণা করতে পেরেছি ?
নাকি এ শুধুই ক্ষোভ ?
কারন এতোই যখন ঘৃণা
করি তখন এতটা কষ্ট
এখনো কেন হয় আমার ?
কেন গত ৩ বছর আমি তোমাকে
একটা দিনের জন্যও ভুলিনি ? কেন প্রচণ্ড কষ্ট,দুঃখেও
তোমাকে ভেবেছি ?
কেন আমি নতুন কাউকে
নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারিনি
এই লম্বা সময়টাতেও ?
যখনই অন্য একটা
চেহারা নিয়ে স্বপ্ন বুনতে
চাই তখনই আমার প্রচণ্ড
অনিচ্ছায় সত্ত্বেও তোমার
ঝাপসা আলোয় তোমার
মুখের অবয়ব
দেখতে পাই রূপা ।
আমার তখন সবকিছু অসহ্য
লাগে,ভাঙচুর চালাতে ইচ্ছে
করে জগত জুড়ে !
কেন এমন হয় আজো ?
মাঝে মাঝে প্রশ্নগুলোর
উত্তরও পেয়ে যাই ।
কি পাই জানো ?
এমনটা হওয়ার কারন আর
কিছুই না ।
কারন আমি সত্যিকার
অর্থেই তোমাকে ভালবেসেছিলাম ।
তাতে তোমার মত খাদ
ছিল না ।
নাহ ভুল বললাম ।
তোমারটা তো ভালবাসাই
ছিল না ।
মিথ্যে মিথ্যি আবার
ভালবাসা হয় নাকি বলো ? ভালবাসার পুরোটাই সত্যি । মিথ্যেটা আর যাই হোক
ভালবাসা না !
আর সেজন্যই এভাবে ছেড়ে
যেতে পেরেছিলে রূপা ।
কি জানি বলেছিলে তুমি ?
প্রথমে বলতে,
"আবিদ,আমি তোমার
আমার যোগ্য নই ।"
আমি তখন হাহাকার করে
উঠতাম ।
আমি তোমার অতীতের সমস্ত গ্লানি মৃত ঘোষণা করে বলছিলাম-
"তুমি যেমন আমার জন্য
তেমনই যথেস্ত,এতেই আমি
সৌভাগ্যবান ।
আমি এমন টা-ই ।
এর চেয়ে বেশি আমার
দরকার নেই ।
তুমি আমাকে যেমন রাখবে
আমি তেমনই থাকব ।
শুধু তুমি পাশে থেকো
তাহলেই হবে ।"
আর শেষমেষ চলে যাওয়ার আগে তুমি বললে-
"আবিদ,
তুমি আমার যোগ্য নও !"
অনেক বেশি অপমানিত
হয়েছিলাম রূপা তখন ।
অনেক বেশি ছোট লাগছিল নিজেকে,কষ্ট পেয়েছি
সীমা ছাড়া ।
কারন জানতে চাইলে বললে-
আমি নাকি ব্যাকডেটেড,
আমি নাকি অনেক বেশি ইমোশনাল,
অনেক বেশি সেনসিটিভ,
এত ইমোশন দিয়ে জীবন
চলে না-
তোমার এমনটা চাই না !
প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিলাম রূপা,
তবুও একটা প্রশ্নের উত্তর
জানার ছিল যে-
তুমি তো জানতেই আমি এমন । আধুনিক কালে আধুনিকতা
বলতে যা বোঝায় তা
কখনই আমার সয়নি ।
আমি সাধারণ বাঙালী কবি,আমি একজন সত্যিকার হিমু-
সবই তো জান্তে,
সব জেনেই তো এসেছিলে
আমার কাছে,
তুমিই তো আমাকে মানিয়ে
নিয়েছো নিজের মতো করে ।
সব তুমিই করলে আর
ছেড়ে দিলেও তুমি !
তবে এসেছিলে কেন ?
কিছু গিফটের জন্য ?
ওগুলোতো আমি তোমাকে
আমার কাছে এমনিতেই চাইলে
দিতাম ।
আমি কারো ইচ্ছা অপূর্ণ
রাখিনা,যদি তা আমার সাধ্যের
মধ্যে থেকে থাকে ।
প্রেম তোমার কাছে খেলা ?
টাইম পাস ? ধোঁকাবাজি ?...।
কি বলতে তুমি ?
আমি বেঁচে থাকতে কোনদিন
দ্বিতীয় কোন রিলেশনে যাবেনা ।
মিথ্যে কথা ছিল,এ তোমার
ছলনা ।
অবশ্য এখন আমি মৃতই,
দেহটাই শুধু জীবিত ।
মন ও মানসিকতা অনেক
আগেই মরে গেছে ।
তুমি ছিলে আমার চ্যাটলিস্টের
এক নম্বরে !
একটা দীর্ঘ সময় আমরা এক
সাথে এই নীল সাদার জগতে
একটা সুন্দর সময় পার করেছে ।
ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এই
সুন্দর সময় আসবেনা ।
তোমাকে প্রথম ব্লক করা শিখিয়েছিলাম আমি ।
ফেসবুকের "ফ" ও জানতে না ।
না পারতে কিছু লিখতে,
না পারতে কিছু সাজাতে ।
আমিই লিখতে শিখিয়েছি,
সাজানো শিখিয়েছি,সেলিব্রিটি বানিয়েছি,ফলোয়ার্স বানিয়ে দিয়েছি
আর এখন আমিই তোমার
ব্লকলিস্টে !
কি চমত্কার খেলাটাই না
খেললে তুমি ।
তোমার এই ভালো থাকা
আমি কেন জানি মেনে নিতে পারছি না রূপা ।
তোমার কাছে প্রেম মানে
তবে কি ?
প্রচণ্ড কষ্ট হয় আমার ।
আমি তো ভালো নেই,
তুমি কি করে এত ভালো
আছো ?
আমার মধ্যে প্রচণ্ড রকম নেগেটিভিটি ঢুকিয়ে দিয়েছো
তুমি ।
বিশ্বাস করো আমি এখন
আর কোন কিছু পজিটিভলি
নিতে পারি না ।
কাউকে এখন আর
একদমই বিশ্বাস হয় না । আশেপাশের মানুষগুলোকে
যখন দেখি ভালবাসার
মানুষটাকে নিয়ে সুখে
আছে আমি বিরক্ত হই ।
হয়তো বা তারা সত্যিই
একে অন্যকে ভালবাসে ।
সবাইতো আর তোমার
মত না ।
তবুও কেন জানি বিশ্বাস
হতে চায় না ।
এই ব্যাপারগুলো,
এই শব্দগুলো আমাকে
প্রচণ্ড রকম বাজে অনুভুতি
দেয় রূপা ।
তুমি আমাকে একদম শেষ
করে দিয়েছো ।
অনেকখানি উপরে উঠিয়ে এমনভাবে আমাকে ফেলে
দিয়েছো যে আমি এখনো
উঠে দাঁড়াতে পারিনি ।
জানিনা পারব কিনা ।
কারন এখন আর এমন কিছু আশাই করি না,
আশা করতে ভয় পাই ।
প্রতিটা দিন আমি চেয়েছি
তুমি ফিরে আসো,
যে অন্যায় করেছো আমার
সাথে তার জন্য অনুতপ্ত হয়ে একবার আমার সামনে এসে দাঁড়াও ।
আসোনি !
বারবার আমি প্রত্যাখিত হয়ে
এখন সেচ্ছায় নির্বাসন বেছে
নিয়েছি রূপা ।
যাও চলে যাও তুমি ।
আর কখনোই আমার
সামনে এসো না ।
ক্ষমা তোমাকে আমি
কোনোদিনই করতে পারবো
না রূপা ।
যাও,চলে যাও.....!
ইতি-
'স্বাধীন'
("আমার পাগল হিমু" বলে ডাকতে যাকে)
Comments
Post a Comment