হস্তমৈথুন

হস্তমৈথুন
---

হস্তমৈথুন যাকে ইংরেজীতে মাস্টারবেশন (Masterbation) এবং বাংলায় স্বমেহন বলা হয় ।

আজকের স্ট্যাটাসটা এই বিষয়েই লিখেছি ।আজকের স্ট্যাটাস পড়ে আমরা সবাই ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের হস্তমৈথুন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবো ।
চলুন তাহলে শুরু করি --

বর্তমান সমাজের প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ছেলে এবং মেয়েই হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত যদিও তা কেউ প্রকাশ করতে চায় না ।
ধর্মীয় কারনে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজের আত্মসম্মানের ভয়ে ছেলে ও মেয়েরা এই ব্যাপারটা গোপন রাখে ।

সবার জেনে রাখা উচিত যে,
ছেলেদের হস্তমৈথুন করাটা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত ।
ছেলেদের দেহে অধিক হরমোন বেড়ে গেলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে ।
তাই দেহে হরমোনের ভারসাম্য রাখতে হস্তমৈথুন কার্যকরী কারন আমাদের দেশের ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার সুযোগ কম ।
বিজ্ঞানীদের মতে,
সপ্তাহে ২-৩ বার হস্তমৈথুন করাটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ।
তবে বিজ্ঞানীরা এটাও সতর্ক করে দিয়েছে যে,
যারা অধিক হস্তমৈথুন করে তাদের সন্তান উত্‍পাদন ক্ষমতা কমে যায় ।
তাই কখনোই অধিক হস্তমৈথুনে আসক্ত হওয়া ছেলেদের উচিত
নয় । 

মেয়েদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন করাটা তেমন ক্ষতিকর না হলেও অধিক হস্তমৈথুনে যৌন স্পৃহা কমে যেতে পারে ।
ফলে বিবাহ এবং স্বামী উভয়ের প্রতি অনিহা জাগে ।

বর্তমান সময়ে ছেলেরা হস্তমৈথুনের সময় নানারকম ভিডিও দেখে থাকে ।অধিকাংশ ভিডিওই থ্রি এক্সের ।ভিডিও দেখতে দেখতে হাতের আঙুল কিংবা মুঠো দিয়ে লিঙ্গকে মৈথুন করা হয় ।
প্রচন্ড উত্তেজনা এবং ঘর্ষণের ফলে একসময় বীর্যপাত হয় ।

ভিডিও ছাড়াও হস্তমৈথুনের সময় মেয়েদের কল্পণা করে অনেকে,
মেয়েদের ফোঁলা  স্তন ও কোমড় হস্তমৈথুনের জন্য পারফেক্ট ।
প্রায় ৯৯% সুন্দরী মেয়েরাই ছেলেদের হস্তমৈথুনের রাণী হয়ে যায় !
আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেরাই হাইস্কুলে পড়াকালীন হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয়ে যায় ।
চলতে থাকে বিবাহ পর্যন্ত ।

অপরদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনটা একটু দেরিতে শুরু হয় ।
শহরের অতি আধুনিক স্কুল পড়ুয়া মেয়েগুলি ব্যতীত প্রায় সব মেয়েই কলেজ পাশ করে ভার্সিটি লেভেলে গিয়ে হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয় ।
আবার সব শহরে মেয়ে এক নয় ।
বিভিন্ন শহর থেকে ঢাকায় পড়তে আসা মেয়েরা ঢাকার মেয়ে ও ছেলেদের পাল্লায় পড়ে হস্তমৈথুন জগতে ঢুকে যায় ।

সাধারনত অনামিকা এবং মধ্যাঙ্গলি দ্বারা মেয়েরা হস্তমৈথুন করে থাকে ।একটা কিংবা একাধিক আঙুল যৌনাঙ্গে প্রবেশ করিয়ে ক্লাইস্টোরিসে টাচ দিলে মেয়েদের প্রচন্ড সেক্স ফিল হয় ।
ছেলেদের মতো মেয়েদের বীর্যপাত হয় না ।মেয়েরা যতোক্ষণ ইচ্ছা ততোক্ষণ হস্তমৈথুন করতে পারে কিন্তু বীর্যপাত হয়ে গেলে ছেলেরা আর করতে পারেনা ।
মেয়েদের আঙুল দ্বারা ক্লাইস্টোরিস বা ভগাঙ্কুরকে উত্তেজিত করার এই পদ্ধতিকে ইংরেজিতে ফিঙ্গারিংও বলা হয় এবং হস্তমৈথুনের পরিবর্তে এই শব্দটা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ।

হস্তমৈথুনের সময় সাধারনত মেয়েরা ছেলেদের লিঙ্গ কল্পণা করে থাকে ।ছেলেদের মতো তাদের কাছে চেহারাটা মূখ্য নয় ।অধিকাংশ ছেলেরা যেখানে সুন্দরি মেয়েদের কল্পণা করে সেখানে মেয়েরা ছেলেদের স্বাস্থ্যবান লম্বা ও মোটা লিঙ্গ কল্পণা করে ।
অনেক মেয়েই এইসময় নিজ হাত দ্বারা স্তনে চাপ দেয় ।

মেয়েদের হস্তমৈথুনে আঙুল ছাড়াও এখন প্রবেশ করেছে লম্বা বেগুন,শসা,মোমবাতি ।বাদ পড়েনি কলম,টুথব্রাশও ।
আমাদের দেশের মেয়েরা হাতের কাছে যা ই পাচ্ছে তা ই গুদামঘরে চালিয়ে দিচ্ছে 😁

এছাড়া ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই এখন বাজারে নানারকম যৌন সামগ্রী এসেছে ।
ছেলেদের জন্য আছে কৃত্রিম যোনী,মেয়েদের জন্য আছে কৃত্রিম লিঙ্গ ।এসব কিছুতে ভাইব্রেটর লাগানো থাকে যা পূর্ণ হস্তমৈথুনের সুখ দিতে সক্ষম ।

হস্তমৈথুনকে অনেকসময় বেশি আনন্দদায়ক করতে ব্যবহার করা হয় তৈলাক্ত জিনিস ।যেমন-তেল বা গ্লিসারিন ।
কেউ কেউ কনডমও ব্যবহার করে থাকে ।

সর্বশেষ একটা কথাই বলবো-
অধিক হস্তমৈথুনের অভ্যাস আপনাকে একটি অন্ধকার জগতে পৌছে দিবে ।
স্বাস্থ্যের অবনতি,স্মরণশক্তি কমে যাওয়া,চোখে কম দেখা ছাড়াও সন্তান উত্‍পাদন ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে ।

ছেলে এবং মেয়ে প্রত্যেকের দেহেই একটা মধুর চাক আছে ।
এই চাকে জমাটবদ্ধ মধু থাকে ।জীবনকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করতেই প্রকৃতি আমাদের দেহে এই মধুর চাক দিয়েছে ।

কৌতূহল বা ইচ্ছাকৃত যেকোন কারনেই আমাদের দেহের ছেলে ও মেয়েরা এই মধুর চাক ভেঙ্গে ফেলে ।এটা এমন এক মধুর  চাক যা একবার ভাঙলে বার বার ভাঙতে ইচ্ছা করে ।

অনেকেই এই মধু বিপরীত লিঙ্গের সাথে শেয়ার করতে চায় ।
এই চাওয়া থেকেই আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
একসময় এই শেয়ার করা শেষ হয় ।তারপর ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক ।সত্যি বলতে এটাকে ভালবাসা বলেনা ।এটাকে মধু খাওয়া বলে যাতে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে উভয়ই দায়ী ।এককভাবে কেউ দায়ী নয় ।

আবারো একটা কথা বলবো তাহলো,
হস্তমৈথুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়াটা চরম ক্ষতিকর ।এতোই ক্ষতিকর যে সমাজে নানারকম অপকর্মের সৃষ্টি হতে পারে ।

নিয়ন্ত্রণে রেখে নিজের চাক নিজে ভাঙুন,অন্যকে মধু দেওয়ার ইচ্ছা বিবাহের আগে ত্যাগ করুন,
প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলুন,নিজে ভাল থাকুন,অন্যকে ভাল রাখুন ।

ধন্যবাদ ।।

Comments

Popular posts from this blog

ফিঙ্গারিং

বাঁকা লিঙ্গ সোজা করার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ টিপস

☬ রক্তদানের ১৩০ টি স্লোগান ☬