অনেক সুন্দরী মেয়ে
তোমরা যারা সারাদিন
ফেসবুকে সুন্দরী সুন্দরী করে স্ট্যাটাসে ঝড় তোলা তাদের
আমি অনুরোধ করবো-
তোমরা বেশ্যাপল্লীতে যাও।
সেখানে অনেক সুন্দরী মেয়ে
পাবে।
এখনকার সময়ের যেসব
মেয়েদের দেখে দেখে তোমরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রসব করো এরা আর ওরা দুজনরাই বেশ্যা।
পার্থক্য এটাই যে একজন থাকে পতিতালয়ে আরেকজন থাকে লোকালয়ে।
আমি শুধু তোমাদের এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে,
রূপ বেশ্যাদেরও থাকে,
তোমরা বরং প্রজ্ঞাময় মেয়ে
খোঁজো ।
বেশ্যাদের রূপ থাকে কিন্তু
প্রজ্ঞা থাকেনা ।
বেশ্যাদের রূপ থাকে কিন্তু
নৈতিকতা,মনুষ্যত্ববোধ ও
মানবিক গুণাবলি থাকেনা ।
আমি যতোদূর বুঝি,
পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিই মেয়েদের
অধপতনের মূল কারন ।
আমরা পুরুষেরা মেয়ে বাছাই করি কি দেখে ?
মেয়ের রূপ,মেয়ের স্তন,মেয়ের পাছা,মেয়ের সুগঠিত দেহ,মেয়ের যৌন আবেদনময়ীতা ইত্যাদি ।
যেহেতু সভ্যতার কলকাঠি
সবসময়ই পুরুষের হাতে থাকে ।
তাই পুরুষের মন যোগাতে
মেয়েরা তাদের রূপ,স্তন,পাছা,
দেহ,যৌন ক্ষমতা ইত্যাদি জিনিসগুলির যত্ন বেশি নেয় ।
যেহেতু পুরুষের চোখ কখনোই উন্নত মন-মানসিকতা,
নৈতিকতা,মানবিক গুণাবলি,সামাজিক মূল্যবোধ-ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি থাকেনা ।
তাই মেয়েরা কখনোই নিজেদের
এসব ব্যাপারে উন্নত করতে চায়না ।
যে মেয়ের মন ও যোনী দুটিই
কালো থাকে সে কখনোই মনের কালো অংশকে পরিষ্কার করার কথা না ভাবলেও যোনী কিভাবে ফর্সা করা যায় সেই
চিন্তায় মগ্ন থাকে ।
কারন আমরা পুরুষেরা
মেয়েদের মনকে কখনোই বিচার
করিনা যদি তাদের যোনী ফর্সা থাকে ।
এটা পুরুষ হিসেবে আমাকে
লজ্জা দেয় ।
আমি কিন্তু এখানে কালো-সাদা
বিভক্ত করছিনা ।
আমি শুধু এটা বলতে চাচ্ছি যে,
আমরা পুরুষেরা এতোটাই নিচে
নেমেছি যে,
মেয়েরা বইয়ের দোকানের চেয়ে কসমেটিক্স আর পার্লারে বেশি ভিড় লাগায় ।
এটা সভ্যতার একটা বড়
পরাজয় ।
আমরা পুরুষেরা সভ্যতার বাহক হলেও,নারীদের অধপতনে তা
ধ্বসে পড়া শুরু করেছে ।
এখনকার মেয়েদের অবস্থা খুব একটা ভাল না ।
যে ছেলেটা তাদের শরীরের প্রতি নজর দেয়,মেয়েরা সেই ছেলেটাকেই মন দেয় ।
এটা মেয়েদের একার দোষ না ।
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার
হলেও আমরা জাতিগতভাবে আজো একটা ব্যর্থ দেশ ।
আমাদের নৈতিকতা,মানবিকবোধ এসব এখনো শূণ্যের কোঠায় ।
আমাদের দেশের মেয়েদের কাছে জাতীয় বিষয়ের একটা টকশোর চেয়ে স্টার জলসা,স্টার মুভিজ বেশি দামী।
জাহানারা ইমামের মতো মা এই দেশে আর আসবেনা,
কারন এখনকার মেয়েরা প্রেম করে করে গর্ভ নষ্ট করে ফেলে।
Comments
Post a Comment