মীনা এখন লিটনের ফ্ল্যাটেঃ
মীনা এখন লিটনের ফ্ল্যাটে
--- ----------
বাবা মায়ের ছোট্ট আদরের মিনা ।
তার ছোট ভাইয়ের নাম রাজু ।
মিনার একটা টিয়া পাখি ছিল তার নাম মিঠু ।মিনা খুব বুদ্ধিমতী ।
একদিন সে বুদ্ধি দিয়ে গ্রামের মস্তবড় চোরটাকে ধরে ফেললো ।
তারপর সবাই তার প্রশংসা করলো ।তারপর থেকে মিনার বাবা মিনাকে স্কুলে ভর্তি করে দিলো ।
মিনার সাথে সাথে সবসময় মিঠু থাকতো ।
মিঠু মিনাকে খুব ভালবাসতো ।
হাসি আনন্দে দূরন্তপনায় কাটতে লাগলো দিনগুলো ।
২.
গ্রামের কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে মিনা ঢাকার ইডেনকলেজে ভর্তি হলো ।
অনেক স্বপ্ন চোখে তার ।
স্বাস্থ্য আপার মতো একজন ভাল নারী হওয়ার স্বপ্নটা তার ছোটবেলা থেকেই ।
সেই স্বপ্ন নিয়েই সে ইডেন কলেজে এসে ভর্তি হয়েছে ।
নতুন পরিবেশ,নতুন জায়গা,নতুন বন্ধু-মিনার তো দারুন বুদ্ধি,মানিয়ে নিতে তাই সমস্যা হয়নি তার ।
কলেজের হোস্টেলেই সে থাকার জায়গা পেয়েছে।
৩.
মিনার বান্ধবীর নাম টিনা ।
যদিও টিনা তার থেকে ২ বছরের সিনিয়র তারপরো এক রুমে থাকার সুবাধে টিনাই তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে গেলো ।
টিনা মিনাকে দিয়ে একটাএন্ড্রয়েড ফোন কেনালো ।
ফোন কেনার জন্য মিনা তার বাবার কাছে টাকা চায় ।
বড় আদরের মেয়ে মিনা ।দোকানদারের কাছ থেকে
ধারে সার এনে যে ফসল ফলিয়েছিলমিনার বাবা,
তার প্রায় সবটাই মিনাকে সে ফোন কিনতে দিলো ।
মেয়ে শহরে থাকে ।
একটা ভাল ফোন না হলে
কি আর চলে ?
ফোন কিনেই প্রথম দিন টিনার সাহায্যে সে ফেসবুকে একটা এক্যাউন্ট খুললো ।
ফেসবুকে তো বাঙালী মেয়েদের জয়জয়কার ।
হাত,মুখ,ঠ্যাং একটু প্রোপাইল পিকে দিয়ে রাখলেই হয়,আইডি হিট !
টিনার সাহায্যে সব শিখে নিলো মিনা ।অল্পদিনেই মিনার আইডি হিট খেয়ে গেলো ।
৪.
গ্রাম থেকে আসার কারনে হয়তো মিনা একটু কালো ছিল ।
তার বান্ধবী টিনা অনেক ফর্সা ।কলেজের প্রায় সবাই ফর্সা ।
মিনার এটা ভেবে খারাপ লাগে খুব ।টিনাকে এ কথা বললো যে সে ফর্সা হতে চায় ।
টিনা তার হাতে ফেয়ার এন্ড লাভলি তুলে দিলো ।
৩ সপ্তাহে ফর্সা হতে মিনা উঠে পড়ে ফেয়ার এন্ড লাভলি ঘষতে লাগলো ।
বিধিবাম ! কিছুই হইলো না তাতে ।মিনার আরো মন খারাপ হলো ।
টিনা এবার তার হাতে তুলে দিলো সুদূর চায়না থেকে আগত ফর্সা হওয়ার বেস্ট ক্রিম যা "চায়না ক্রিম" নামেই সর্বাধিক পরিচিত ।
এবার কাজ হতে লাগলো ।
চায়না ক্রিমের জাদুর ছোঁয়ায় রাতারাতি মিনা লাক্স সুন্দরীদের মতো ফর্সা হয়ে গেল ।
তার চেহারা আগের থেকে কয়েকগুন সুন্দর হয়ে গেছে ।
সে রূপবতী হয়ে গেছে ,এই তৃপ্তি মিনাকে অনেক আনন্দ দিলো ।
৫.
মিনার একদিন সকালে প্রচন্ড পেট ব্যথা শুরু হলো তাই সে ক্লাসে গেলোনা ।
একাই হোস্টেল রুমে থেকে গেলো ।পেটে ব্যথা একটু কমলে মিনা পুরো রুম গোছাতে লাগলো ।
হঠাত্ সে টিনার বালিশের নীচে একটা বড়সড় লম্বা বেগুন পেলো ।
মিনা অবাক হয়ে গেলো !
বালিশের নীচে কেন বেগুন থাকবে,বেগুন তো থাকবে কিচেন রুমে ।
এদিক সেদিক তাকাতে তাকাতে মিনা দেখলো টিনার খাটের নীচে একটা ব্যাগে আরো অনেকগুলি লম্বা বেগুন আছে ।
এ কি কান্ড !!ক্লাস থেকে ফিরতেই মিনা টিনাকে বেগুনের কথা জিগেস করলো ।
টিনা আমতা আমতা করতে লাগলো ।মিনার একটার পর একটা প্রশ্নে একসময় টিনা বলেই ফেললো যে,বেগুন দিয়ে সে মাস্টারবেশন করে ।
মাস্টারবেশন শব্দটা মিনার কাছে অপরিচিত ।
কৌতূহলবশত সে গুগলে সার্চ দিলো ।এরপর থেকে মিনার মনে ঐ মাস্টারবেশন ব্যাপারটা ঘুরতে লাগলো ।
৬.
একদিন গভীর রাতে মিনা তার মশারীর ভেতর আরেকটা শরীর টের পেলো ।
জোছনার আবছা আলোয় সে বুঝতে পারলো এটা টিনা ।
টিনার গায়ে ব্রা ছাড়া আর কিছুই নেই ।
টিনা মিনাকে জড়িয়ে ধরলো ।
টিনার মুখ থেকে গরম নিঃশ্বাস মিনার ঠোঁটে পড়তে লাগলো ।
মুহুর্তেই মিনার সারা শরীর কেঁপে উঠলো ।
এক ধরনের সুখের বেদনা ছড়িয়ে পড়লো তার দেহে ।
টিনা তার সব পোশাক খুললেও সে কোন বাঁধা দিলোনা ।
একসময় দুটি দেহ মিশে গেলো ।এভাবেই চলতে লাগলো রাতের পর রাত ।
মিনাও মাস্টারবেশনে অভ্যস্ত হয়ে গেলো ।
টিনা মিনার রুমটা হয়ে গেলো বেগুনের সাম্রাজ্য৷
৭.
কলেজ পাশ করে মিনা ভাল একটা ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন দেখলো ।
মিনার একটা ভাল পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স হলো ।
লাল নীল ক্যাম্পাস তার চোখ জোড়ালো ।
তার বাবা এটা শুনে বেশ খুশি হলো ।
মিনার এখন চোখ মুখে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন জাগলো ।নিয়মিত সে ভার্সিটি ক্লাসে যেতে লাগলো ।
ভার্সিটিতে অনেক সুদর্শন ছেলে আছে ।
মিনা এখন পরিপক্ক ।
সে জানে এইসব ছেলেরাই বেগুনের বিকল্প হতে পারে ।
মিডল ফিঙ্গার আর ফেসবুকে চ্যাটসেক্স করে শুধু শরীরের খিদেই বাড়ে,মেটেনা ।
মিনা এখন প্রেম করতে চায় ।অল্পদিনেই ভার্সিটির নেতা টাইপের ছেলেদের চোখে পড়ে গেল মিনা ।প্রেমের অফার দিতেই মিনা রাজি হলোনা ।
একটু ইনিয়ে বিনিয়ে দামবাড়াতে লাগলো ।
এর মধ্যে রোবেন নামের একটি ছেলে দামী একটা গিফট পাঠালো মিনার জন্মদিনে আর তাতেই গলে গেল সে ।হাই ফাই স্টাইলিশ ছেলে রোবেন ।মিনাকে সে অবশেষে পেল ।
বেশ চলতে লাগলো প্রেম ।ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের বুকে বসে প্রেমালাপ করতে করতে মিনা ভাবে,প্রেম সত্য,প্রেম মহান আরো কত কি ।
যা হয় আর কি এই যুগের ছেলে মেয়েদের ।
কয়দিন পর থেকে বিয়ে না করেই তাকে ফোনে একে অন্যের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মতো কথাবার্তা শুরু করলো ।
স্বাভাবিকভাবেই রোবেন মিনাকে লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার প্রস্তাব দিলো এই বলে যে,আমরা তো একদিন বিয়ে করবোই ।মিনাও রাজি হয়ে গেলো ।তার বড্ড দেহের খিদে ,সেই ইডেন কলেজ থেকে ।
তারপর সময় সুযোগ মতো একদিন রোবেন মিনাকে লিটনের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলো ।
তারপর যা হয় আর কি ।
লিটনের ফ্ল্যাট হয়ে গেলো ।
রোবেনের তখন অন্য একটা মেয়েকে ভাল লাগলো ।
অল্পকিছুদিন পর মিনা Xvideos এ ভিজিট করে দেখলো মিনা নামের নতুন একটি ভিডিও এসেছে ।
তাতে অবশ্য মিনা বিচলিত হয়নি অন্য মেয়েদর মতো ।
এটা তার ভাল লাগে ।
মিনা ও রোবেন আলাদা লিঙ্গের হলেও এরা একই ।
এরপর থেকে মিনা হাত বদলে অভ্যস্ত হয়ে গেলো ।
নিত্য নতুন শরীর চায় সে ।
তার বাবা প্রতিমাসেই টাকা পাঠায় ।মিনা সব ভুলে যায়,এখন সে রোজ রোজ লিটনের ফ্ল্যাটে যায় !!!
➥
💻 m.facebook.com/bdshadhin2016
➥
🔳 নিশাচর পথচারী মনিরুল ইসলাম (স্বাধীন)
Comments
Post a Comment