যোনীর অপব্যবহারঃ

যোনীর অপব্যবহার
---

আরব দেশের একটা নিয়ম খুব অমানবিক ও নৃশংস হলেও আমার ভাল লাগে ।তা হচ্ছে,আরব দেশে শিশুবেলাতেই মেয়েদের যোনীর ভেতর থাকা ভগাঙ্কুর বা ক্লাইস্টোরিস কেটে ফেলা হয় ।
এর ফলে মেয়েরা পরিপূর্ণ যৌন উত্তেজনা এবং পরিতৃপ্তি কখনোই পায়না ।মেয়েদের যৌনতার সবকিছুই এই ভগাঙ্কুরেই থাকা ।এটাই সব যৌন উত্তেজনার উত্‍স ।
আমি মনে করি এটা ধর্মের একটা কু-দিক হলেও এর প্রয়োজনীয়তা আছে ।

যে মেয়ের ক্লাইস্টোরিস থাকেনা তার যোনীতে সেক্স উত্তেজনা ও সেক্স তৃপ্তি থাকেনা বললেই চলে ।আরবরা বিশ্বাস করে যে,
মেয়েরা যদি যৌনতা থেকে বিরতা থাকে তাহলে সব ঠিক থাকে ।

এই বিশ্বাস যদিও ঠিকনা ।অবশ্য আরবদেশের এইসব ভুয়া প্রথা ও বিশ্বাস দিন দিন কমে যাচ্ছে ।সে দেশের মেয়েরা ধীরে ধীরে হলেও অনেক অধিকার ফিরে পাচ্ছে ।

যাকগে,
প্রসঙ্গ সেটা নয় ।
প্রসঙ্গ হচ্ছে বাঙালী মেয়েদের যোনীর অপব্যবহার ।

আমাদের দেশের স্কুল,কলেজ,ভার্সিটির মেয়েরা বর্তমানে যোনীর অপব্যবহার শুরু করেছে ।সক্ষম পুরুষের মৌলিক চাহিদার পর যে জিনিসটার নেশা থাকে সেটা হচ্ছে মেয়েদের যৌনাঙ্গ ।
আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে যোনীর অপব্যবহার শুরু করেছে বাঙালী মেয়েরা ।

বাংলাদেশের সিনেমার চেয়ে মেয়েরা এখন বিদেশী সিনেমা ও গান বেশি দেখে ও শোনে ।
ভারতীয় অশ্লীল ছবি,গান এখনকার মেয়েদের হাতের বড় বড় ফোনে থাকে ।ঐসব ছবি,গানের যৌন দৃশ্য শুধু ছেলেদের নয়,মেয়েদেরকেও যৌন উত্তেজিত করে ।
ছেলেরা হস্তমৈথুন করে উত্তেজনা কমাতে পারলেও মেয়েরা পারেনা কারন ছেলেদের মতো মেয়েদের বীর্যপাত হয়না ।
মেয়েদের যৌন তৃপ্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে ছেলেদের লিঙ্গ ।

এই লিঙ্গ পেতে অধিকাংশ মেয়েরা এখন প্রেম করে ।
প্রথমে সুন্দর হাসি,মায়াবী চাহনী,রূপের মায়ায় ছেলেদের মনে ঝড় তোলে ।সেই ঝড় ছেলেদের মনে আলোড়ন তোলার সাথে সাথে লিঙ্গেও আলোড়ন তোলে ।
দুইয়ে দুইয়ে চার হয়ে যায় ।মেয়ে চায় লিঙ্গ দিয়ে যোনী খনন করাতে আর ছেলে চায় যোনী খনন করতে ।আর প্রিন্ট মিডিয়া ও কাছে আসার গল্পে এই খননকর্মকে প্রেম ভালবাসা বলে আখ্যায়িত করা হয় ।
২০০০ সালের পরে এই দেশে সত্যিকার প্রেমের হার কমে গেছে ।এখন যা আছে তার ৯০% ই যোনী ও লিঙ্গ পাগল ছেলে মেয়েদের বিছানা গরম করার একটা ধান্দা ।

একটা লিঙ্গে এখন মেয়েদের হয়না ।যোনীতে খনন চালাতে চালাতে ছোট্ট যোনীটা এক সময় বড় নদীতে পরিণত হয় ।তখন একটা লিঙ্গে হয়না ।তখন মেয়েরা যোনীকে মহাসাগর বানাতে চায় ।
মোটাতাজা ও লম্বা লিঙ্গের নেশায় তারা মগ্ন থাকে ।একই সময় মোটা তাজা ও লম্বা লিঙ্গের ছেলেরাও এসব মেয়েদের ধান্দায় থাকে ।ফলস্বরূপ,
চমত্‍কার রূপবতী মেয়েগুলি নষ্ট ছেলেদের সাথে প্রেম করে ।প্রেম তো নয় আসলে যোনী খনন করে ।আর যারা  সত্যিকার প্রেমিক হতে চেয়েছিল তারা চিরদিন ফ্যাল ফ্যাল চোখে জীবন কাটিয়ে দেয় পরিবারের পছন্দের মেয়েটিকে নিয়ে ।

এখনকার মেয়েরা দুই হাতে টেনে টেনে লিঙ্গ চুশতে পারে খুব ।
এইজন্য তারা সেইরকম ছেলেই বেছে নেয় ।
যোনী খননের নেশায় তারা খাঁটি আর নকল প্রেমিকের তফাত বোঝেনা ।

একদম যে বোঝেনা তা কিন্তু নয় ।বোঝে ।
বুঝেই তারা  সত্যিকার প্রেমিক ছেলেদের কাঁদায় কারন সত্যিকার প্রেমিকরা কখনোই প্রেমিকার যোনী খননের ধান্দায় থাকেনা ।তারা শুধু ভালবাসতে পারে ।আর কিছু পারেনা ।

সমস্যা হচ্ছে,
এখনকার মেয়েরা ভালবাসা চায়না ।চায় লিঙ্গ ।যে ছেলের লিঙ্গ যতোবড়,যতো মোটা মেয়েরা তাকে ততোটাই কামনা করে ।
ভারতীয় বাংলা নায়িকাদের পেট,নাভী,স্তনে নায়কদের স্পর্ষ দেখে তারা উত্তেজিত হয়ে যায় ।
অনেক মেয়ে আছে যারা বলে,বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানকে বিশ্রি লাগে,বিরক্তি লাগে ।তারা বলে ভারতীয় বাংলার জিত্‍,দেব তাদের উপর ক্রাশ খায় ।
আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে কি,বাংলাদেশের শাকিব খান যতোই কাটপিস সিনেমা করুক না কেন কখনোই নায়িকাদের পেট,নাভী,স্তনের দিকে লুচ্চা চোখে তাকায় না ।আমাদের বাঙালী সংস্কৃতির ছবিতে এটা নেই ।আর কলকাতার সিনেমায় এসব অহরহ হচ্ছে ।এদেশের মেয়েরা ঐগুলা দ্যাখে আর উত্তেজিত হয় ।উত্তেজনার ঠ্যালায় তারা শাকিবকে দেখে বিরক্ত হয় আর জিত্‍- দেবদের দেখে যোনী ভিজিয়ে ফেলে ।
এরা হাজার বছরের প্রিয় বাঙালী সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় শত্রু ।

যৌনতা প্রাকৃতিক জিনিস ।সবারই আছে ।সবারই বিপরীত লিঙ্গ স্পর্ষের ইচ্ছা আছে ।ঝড় বৃষ্টির রাতে সতী মেয়েটাও প্রচন্ড উত্তেজনা অনুভব করে ।এগুলা স্বাভাবিক ।
এই স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই জরুরী ।
মেয়েরা ভিনদেশী গান,সিনেমা দেখতে দেখতে তাদের অনুসরণ করতে গিয়ে আমাদের বাঙালী সংস্কৃতির বারোটা বাজাচ্ছে ।শাড়ি,টিপ,কাজল ছেড়ে তারা টপস,জিন্স আর দামী লিপিস্টকে মগ্ন হচ্ছে ।
আধুনিকতা ভাল তবে নিজ দেশের সংস্কৃতিকে ভুলে নয় ।
তেমনি যৌনতাও ভাল তবে সেটাকে চৈত্র মাসের পাগলা কুত্তার মতো তৃষ্ণার্ত বানানো ঠিক নয় ।

বাঙালী মেয়েদের যোনী খুব দামী স্থান ।
১৯৭১ সালে অসংখ্য যোনী নির্মম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছিল ।তার বিনিময়ে এই প্রিয় বাংলাদেশ পেয়েছি ।
ভাল থাকুন,ভাল রাখুন ।।

➥
💻 m.facebook.com/bdshadhin2016
➥
🔳 নিশাচর পথচারী মনিরুল ইসলাম (স্বাধীন)