যৌন শিক্ষার আসর-০৪
যৌন শিক্ষার আসর-০৪
- - -
জন্মের পর থেকেই মানুষের যৌন জীবনের শুরু ।
আজকের আসর যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে নয় ।আজকের আসর শিশুদের নিয়ে ।
শিশুদেরও যৌনতা আছে !
অবাক হওয়ার কিছু নেই ।একটা শিশু জগতের আলোতে আসার পর থেকেই তার দেহে যৌনতা বাসা বাঁধে ।
বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড শিশু যৌনতার বেশকিছু বিষয় তাঁর গবেষণাতে তুলেছেন ।আজকের স্ট্যাটাসটা ফ্রয়েডীয় সেই তত্বের সারসংক্ষেপই ।
কিন্তু তাঁর আগে আমি আপনাদের কাছে সংক্ষেপে এই সিগমন্ড ফ্রয়েডকে পরিচয় করিয়ে দিবো-
সিগমন্ড ফ্রয়েডের জন্ম ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে ।তিনি অস্ট্রিয়ার নাগরিক ।তিনি একজন মানসিক রোগ চিকিত্সক এবং মনস্তাত্ত্বিক ।তাঁর অনেক বিখ্যাত তত্ত্ব রয়েছে,তার মধ্য একটা হলো স্বপ্ন তত্ত্ব ।
তিনি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর মারা যান ।
শিশু যৌনতা বা শিশুকামকে ফ্রয়েড সাহেব কয়েকভাবে উদাহরণ দ্বারা ফুটিয়ে তুলেছেন ।চলেন সেগুলি সম্পর্কে জানি-
১। মুখকামঃ
মায়ের দুধ খাওয়ার মাধ্যমে শিশু যৌন ফিলিংস পায় ।যৌনতা একধরনের সুখের অনুভূতি ।যারা পেয়েছেন তারা হয়তো বুঝবেন ।দুধ খাওয়ার সময় দেখবেন শিশু দ্রুতই পা নাড়ায়,ঝাঁকি দেয় এবং বেশ চঞ্চল দেখায় ।এটা তার যৌন অনুভূতিরই বহিঃপ্রকাশ ।
আবার শিশু যখন একটু বড় হয়ে যায় তখন প্রায়ই দুধের বোঁটা কামড়ে ধরে ।এই কামড়ে যদিও মায়েরা বিরক্ত হয় তথাপি শিশু এতো যৌনসুখ পায় ।
২।পায়ুকামঃ
পায়ুকাম বলতে বোঝায় শিশুদের পিছনের দিকটা যেখান থেকে মল (হাগু) ত্যাগ করা হয় ।
অনেকে হয়তো অবাক হয়ে বলবেন যে,একটা শিশু তার পিছন সাইড থেকে কিভাবে যৌনসুখ পায় ! কিভাবে সম্ভব ?
কিন্তু ফ্রয়েড সাহেবের মতে,এটাই সম্ভব ।ফ্রয়েড সাহেব মনে করেন যে,শিশু মল বা হাগু চেপে রাখার মাধ্যমে যৌনসুখ পায় অর্থাত্ একটা শিশুর যখন মল আসে তখন সে তা চেপে রাখা বা চাপ দেওয়ার মাধ্যমে যৌন সুখ পেয়ে থাকে ।
৩। লিঙ্গে চাপ বা নাড়াচাড়াঃ
ফ্রয়েড সাহেব মনে করেন যে,
শিশুদের লিঙ্গ নাড়াচাড়া বা চাপ প্রয়োগে ফলে শিশু যৌনসুখ পেয়ে থাকে ।খেয়াল করে দেখবেন,যখন একটা শিশুর লিঙ্গ কেউ নাড়াচাড়া দেয় তখন শিশু হাসে ।একটা শিশু তার লিঙ্গ নাড়া দিলে কেন হাসবে বলুন ?
কারন একটাই,লিঙ্গ নাড়াচাড়া বা চাপ প্রয়োগে তার শিরায় যৌন অনুভূতি জাগে ।
এই হলো ফ্রয়েড সাহেবের শিশুসকাম বা শিশু যৌন তত্বের মূলকথা ।।
Comments
Post a Comment