মেয়েটা ভার্জিন তো!?
সত্যি বলতে, আমি প্রথম শারীরিক সম্পর্ক করেছিলাম ক্লাস টেনে পড়াকালীন। সেদিন খুবই চিন্তায় ছিলাম কিভাবে কি করবো। বাট আমাকে তেমন কিছুই করতে হয়নি, যা করার সে-ই করেছিলো শুরু থেকে শেষ।
তারপর আরো ৪ বার করেছি ওর সাথে, তার বাসাতেই। পাশাপাশি বাসা ছিলো। এর কিছুদিন পর তার বাবা ট্রান্সফার হয়ে যায় খুলনায়। সাথে আমাদের প্রেমও.....
মন থেকে লাভ করায় ওকে ভুলতে পারছিলাম না। শূন্যতা সহ্য করতে না পেরে আরেকটা মেয়ের সাথে রিলেশন করি। এর বাসা ধানমন্ডিতে। আস্তে আস্তে ভাব জমাই। ডেইলি দেখা করতাম রবিন্দ্র সরোবরে।
মাস খানেক যাবার পর একদিন ওকে নিয়ে মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাই। মেয়েটা চায়নি, তবুও ইমোশনাল কথাবার্তা বলে শারীরিক সম্পর্ক করি। তারপর আরো ৩ মাস ছিলো রিলেশন। এর মাঝে প্রায় ৮ বার মিরপুর একটা পরিচিত হোটেলে গিয়ে একসাথে থেকেছি। যদিও সে কখনোই রাজি হতো না যেতে। SSC পরিক্ষার কিছুদিন পরেই তাকে কিক দিয়েছিলাম লাইফ থেকে। মেয়েটা অনেক কান্নাকাটি করেছিলো তখন।
তখনো আমি কলেজে ভর্তি হইনি। ফেসবুকে পরিচয় হয় সামিয়া নামের আরেকটা মেয়ের সাথে। সে সিটি কলেজে পড়ে। সিনিয়র, তাও লাইন মারা শুরু করলাম। সে জানতো আমি জুনিয়র তবুও রিলেশন করলো। রিলেশনের ২৩ দিনের মাথায় সে আমার সাথে একা ঘুরতে যেতে রাজি। অনেকটা মেঘ না চাইতেই জল টাইপ আরকি।
গেলাম কক্সবাজার দুজন। সেখানে ৩ রাত ছিলাম একসাথে। বেশিরভাগ খরচ সে-ই দিয়েছিলো। এই রিলেশনটা প্রায় ৪ মাস ছিলো। তারপর আমি নিজেই একটা উছিলা দিয়ে কেটে পড়েছি।
কেটে পড়ার কারন হলো কলেজে ভর্তি হবার পর আমার আরেকটি মেয়েকে ভালো লাগে। যদিও মেয়েটি আইডিয়ালে মাত্র ক্লাস নাইনে পড়তো। মনে হয় ওকে সিরিয়াসলি-ই লাভ করতাম। তার কথাবার্তা এতই সিরিয়াস ছিলো যেন সে আমি ছাড়া আর কিছুই বুঝেনা। সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পর জানতে পারি সে অন্য একটা ছেলের সাথে হোটেলে গেছে। এটা জানার পর আমার তো মেজাজ পুরাই খারাপ হয়। দ্যান, ব্রেকাপ করে নতুন রিলেশন করি এক ক্লাসফ্রেন্ডের সাথে।
মিথ্যা বলবো না, এই ক্লাসফ্রেন্ডের সাথে রিলেশন করাটা ছিলো আজাইরা টাইম পাস। কারন নাইনেরটার সাথে রিলেশন চলাকালীন প্রায়ই এই ক্লাসফ্রেন্ডের সাথে রুমডেট করতাম। সেও আমাকে আগে থেকে লাইক করতো।
ঢাবিতে ভর্তির পর জড়িয়ে যাই কিছু সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সাথে। বন্ধুরাও করতো। ফেসবুকে আমাদের গ্রুপও ছিলো। সেখান থেকে পরিচয় হয় চট্টগ্রামের একটি মেয়ের সাথে। প্রথমে বন্ধুত্ব হয়, পরে প্রেম। মেয়েটি আমাকে এতটাই লাভ করতো যে একা একা ঢাকায় চলে আসতো দেখা করার জন্য। এটা নিয়ে কয়েকবার ঝগড়াও করেছিলাম। এভাবেই চলছিলো।
প্রায় ৫ মাসের রিলেশনে ওকে নিয়ে ২ বার কক্সবাজার ছিলাম একসাথে। শেষ পর্যন্ত এই রিলেশনও টিকেনি। মেয়েটা আমাকে ভালোবাসার থেকে সন্দেহ করতো বেশি। অবশ্য সন্দেহ করার মত কাজও আমি করেছি। ওর সাথে রিলেশন থাকা অবস্থায় আমি দুইটা মেয়ের সাথে কথা বলতাম। একটা কুমুদিনীতে পড়ে আর একটা আহসানউল্লাহতে।
একসাথে এত প্যারা নিতে পারছিলাম না, তাই চট্টগ্রামেরটাকে বের করে দিলাম মন থেকে। তাছাড়া এই মেয়েটা বেশিই সিরিয়াস ছিলো রিলেশনের ব্যাপারে। ব্রেকাপের পর সে নাকি ৩ দিন হাসপাতালেও ছিলো।
যাহোক, কুমুদিনীর মেয়েটা ছিলো সব থেকে বেশি জোস। রাত দিন কথা হতো। আমি একবার গিয়ে মিট করেছিলাম। সেদিন তার কান্না দেখে সত্যিই খারাপ লেগেছিলো। এটাই নাকি তার প্রথম রিলেশন ছিলো। তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।
ভ্যালেন্টাইন ডে তে তাকে ঢাকায় ইনভাইট করলাম, সে আসবে বললো। এর মাঝে আমি চলে গেলাম আহসানউল্লাহর টাকে নিয়ে বান্দরবন ট্যুরে। বান্দরবন থেকে সেন্ট মার্টিন। টানা ১ সপ্তাহ দুজন একসাথে ছিলাম।
ঢাকায় ফিরে ফ্রেন্ড থেকে জানতে পারি জেরিন (কুমুদিনীর) নাকি আমাকে অনেক বেশিই মিস করছিলো তাই সে ঢাকায় চলে এসেছে আমাকে সারপ্রাইজ দিতে। এসে আমাকে না পেয়ে চলে গেল। দ্যান ১ সপ্তাহ পর তাকে কনভিন্স করে আবার ঢাকায় আনি। নভোথিয়েটারের ভিতরে অন্ধকারে প্রথম ওকে টাচ করেছিলাম। দ্যান এক মেয়ে ফ্রেন্ডের বাসায় তাকে রাখি। পরদিন মিরপুর বেড়িবাঁধে তাকে নিয়ে নৌকা ভ্রমনে গিয়েছিলাম। নৌকায় অনেক জোরাজুরি করার পর সে সেক্স করতে এগ্রি হয়েছিলো।
তার ঠিক ১৫ দিন পর রাত ২ টায় জেরিন আমাকে ফোনে প্রায় ১ ঘন্টা ওয়েটিং পায়। লাবিবার (আহসানউল্লাহর) সাথে কথা বলছিলাম। সেদিন জেরিন আমাকে কান্নাকাটি করে অনেক কথা শুনায়। সে মন থেকে আমাকে লাভ করে, আমি যেন ওকে না ঠকাই ব্লা ব্লা ব্লা.....
ক্লাসফ্রেন্ডের সাথে কথা বলেছি বলে চালিয়ে দিলেও জেরিনের সাথে বেশিদিন কন্টিনিউ করিনি। কেন যেন প্যারা প্যারা লাগছিলো। প্রতিদিন কল করে কান্নাকাটি করতো। তাই লাবিবাকে দিয়ে সিস্টেমে কল করিয়ে তার থেকে কেটে পড়ি।
at the same time লাবিবার প্রতিও আর তেমন ফিলিংস আসে না। কারন ফেসবুকেই পরিচয় হয় নওরিনের সাথে। সে ভিকারুন্নেসায় পড়ে। নওরিনের সাথে রিলেশন ছিলো প্রায় ৭-৮ মাস। ওর সাথে প্রথম সেক্স করেছিলাম আমার বাসায়। সবাই ট্যুরে গিয়েছিলো সেই সুযোগে তাকে বাসায় আনি। এর পর আরো অনেক বার বনানীতে হোটেলে একসাথে ছিলাম দুজন। পরে জানতে পারি এই মেয়ের Ex আছে। মেজাজ খুবই খারাপ হয় এটা শুনে। ক্যাম্পাসে ডেকে খুব ইন্সাল্ট করি, দ্যান ব্রেকাপ।
তারপর অনেক মেয়েই লাইফে আসলো গেলো, কারো সাথেই এতটা সিরিয়াস হইনি। সিদ্ধান্ত নেই একটা ভদ্র, সুন্দর এবং পিউর মেয়ের সাথে সিরিয়াসলি রিলেশন করবো এবং তাকেই বিয়ে করবো।
গ্রপের একটা গেট টুগেদারে চবির একটা মেয়েকে ভালো লেগে যায়। (প্রাইভেসির কারনে নাম দিলাম না), আমার লাইফে দেখা সব থেকে সুন্দর মেয়ে মেবি সে-ই।
যে কারনে আমার অতীতের কথাগুলো শুনানো তার কারন হলো- আমার কাছে রিলেশন, রুম ডেট এগুলো জাস্ট কোন ব্যাপারই ছিলো না কখনো। এটাই বুঝানোর জন্য বলেছি এসব।
কিন্তু, এই মেয়েটাকে পটাতে আমার ৫ মাস টাইম লেগেছে। এখন সে আমার প্রতি কিছুটা উইক। বাট এখন যখন সে আমার সাথে মিচুয়াল হচ্ছে ততই তার কিছু এটিচিউট থেকে আমার ডাউট বেড়ে যাচ্ছে কেন যেন।
(ছেলেটার থেকে তার ঘটনাগুলো একনাগাড়ে শুনে গেলাম)
তারপর তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা ভাই, আপনার একচুয়ালি আমার থেকে কি পরামর্শ বা সহায়তা দরকার?"
সে বললো, "নীল ভাই, আমি ওকে প্রথম দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকেই বিয়ে করবো। কিন্তু আমার মনে তার ব্যাপারে শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরে এখন..."
আমি আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলাম, "কি সেটা?"
(উপরে বর্ণিত তার কাহিনী শুনে শেষে এসে তার মুখে এমন একটা প্রশ্ন শুনার পর কেন যেন মিজাজ খুবই খারাপ হয়েছিল। যদিও সব ছেলে/মেয়েই এমন নয়)
ছেলেটি আমাকে বললো, "আমার ডাউট আসে মনে, প্রশ্ন জাগে, মেয়েটা ভার্জিন তো!?" 😶
Comments
Post a Comment