ধর্ষণ, সামাজিক প্রেক্ষাপট,প্রতিকার ও আমাদের করণীঃ
★ধর্ষণঃ-
অনিচ্ছাকৃত যৌন হয়রানি বা অল্প বয়সে যৌন হয়রানিই ধর্ষণ।সেটা ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক।
.
★ধর্ষণে প্রতীয়মান সম্ভাব্য কারণঃ-
-মানসিক বিকৃতি
-শালীনতা হীনতা
-শিশুর বয়ঃসন্ধিকালীন যত্নহীনতা
-ইন্টারনেটের অপব্যাবহার
-বিভিন্ন পর্ণ সাইট
-দাম্পত্য কলহ
-সামাজিক সংঘাত
-দলীয় কোন্দল
-দাঙ্গা
-নারীর অপক্ষমতায়ন
-প্রেমে দাগা
-দীর্ঘসুত্রিতা
-প্রেমে দাগা
-প্রতারণা ইত্যাদি।
[বিঃদ্রঃ-ঘটনার সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে]
.
★বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ষণঃ-
বিভিন্নভাবে কথা ওঠে শালীনতাহীনের জন্য ধর্ষণ হয়।আমি বলি, শালিনতা হীনের জন্য ধর্ষণ হয়না।তবে শালীনতা হীনতা ধর্ষণের একটা বড় কারণ।এছাড়াও নানাবিধ কারণ আছে।এই কথাটা অনেকের বোধগম্য হয় না।অনেক মা বোন বলে আমরাতো কাপড় পরেই থাকি,নগ্নতো থাকি না।তাহলে আমরা ধর্ষিতা হবো বা হচ্ছি কেনো।সেই সকল মা বোনকে বলবো,মা বা বোন।সব পোশাক পোশাক নয় কিছু পোশাকের নাম আবেদনময়ী পোষাক।এখন যদি শালীনতা কি..?! এটা না বুঝেন তাহলে আমার এ লেখা বৃথা।
.
★বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিশু ধর্ষণঃ-
অনেকেই প্রশ্ন করছেন,আমরা নাহয় শালীনতা হীনের জন্য ধর্ষণ হচ্ছি।কিন্তু দুধের শিশু বা ৩-৫ বছরের শিশুরা কি দোষ করেছিলো..!!!? তারা কি অশালীন পোশাক পরে ছিলো..?? সেই সব প্রশ্নকারীকে তাদের প্রশ্নের পৃষ্ঠে আমার প্রশ্ন,আপনি কি করে জানলেন বাচ্চাটার ধর্ষণের কারণ পোশাক হয় বা পোশাক নয়..?? ধর্ষণ কি তাহলে আপনি করেছিলেন..??ধরুন মোট ধর্ষণের ৫ ভাগের ১ ভাগ শিশু। তাহলে কি দাড়ালো...?? প্রতি ১০০ জনে ২০ জন শিশু ধর্ষিত হয়।এই ২০ জন শিশুকে ধর্ষণের ক্ষেত্রে কি এই একটাই কারণ..?? আরো কারণ থাকতে পারে।যেমনঃ-
-রাজনৈতিক প্রভাব
-দলীয় কোন্দল
-মানসিক বিকৃতি
-দীর্ঘসুত্রিতা
-খুন
-প্রতিশোধ ইত্যাদি
[বিঃদ্রঃ-সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে!]
তাহলে কি দাড়ালো...?? শিশু ধর্ষণ শুধুমাত্র ধর্ষণের উদ্যেশ্যে হয় না।খুব অল্প সংখ্যক শিশু ধর্ষিত হয়,একমাত্র ধর্ষণের উদ্যেশ্যে।আশা করি আইনের অনুশাসন ও এর যথাযথ প্রয়োগ এই বর্বরতা রোধ করতে সক্ষম হবে।অধিকাংশ শিশু প্রতিশোধের বলি হয়,খুব কম সংখ্যক শিশু ধর্ষিত হয়।এই সব শিশু ধর্ষণ তো শিশুকে হত্যার উদ্যেশ্যেও হতে পারে, তাই না...??
.
★ধর্ষণ রোধে শালীনতা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুক্তিঃ-চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে,"যখন একজন শিশু বয়ঃসন্ধিকালে পা রাখে,তখন সে তার বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে।যদি না করে তাহলে তার জেনেটেলিয়া বা সংশ্লিষ্ট কার্যাবলিতে সমস্যা আছে বলে ধরে নিতে হতে পারে।তবে খুব কমসংখ্যক শিশুই এর ব্যাতিক্রম হয় বা হতে পারে।।বয়ঃসন্ধিকালে উভয় শিশুর শারিরীক পরিবর্তন হতে থাকে।এ সময় তাদের আচরণেরও পরিবর্তন হতে থাকে।এ সময় তারা নিজেকে আড়াল করতে থাকে,এবং বিভ্রান্তিতে পরে।নারী শিশু বেশী লাজুক হয়।নিজেকে কাপড়ের আড়ালে ঢেকে রাখতে শুরু করে।কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র।বর্তমানে নারী যে পোষাক পরে তা ৭০-৮০ ভাগই আবেদনময়ী।যদি ধর্ষণকে বিচার করা হয় কাপড়ের দিক থেকে। তাহলে ৭০-৮০ ভাগ ধর্ষণের কারণ হবে এই মেজর অংশ।
.
★হিউম্যান সাইকোলজি,বিকৃত মস্তিষ্ক ও নারী সমাজের যুক্তিঃ-
আসল কাহিনী তো এখানেই।অধিকাংশ নারী বলে বিকৃত মানসিকতা থেকে ধর্ষণ হয়।পোষাক মুখ্য নয়।সেই সব নারীকে আমার প্রশ্ন,মা বা বোন বলেন তো..!! এই বিকৃত মস্তিষ্ক কি জন্ম থেকেই থাকে...??? নাকি নাকি বিকৃত সমাজ ও সমাজ ব্যাবস্থায় দীর্ঘদিনের বসবাসের ফলে হয়...??আশা করি একটু ভেবে দেখবেন।আসলে যারা সমাজে ধর্ষক তাদেরকে এই সমাজ বিকৃত মস্তিষ্কে রুপান্তরিত করেছে।নরপশুতে পরিণত করেছে এই সমাজ ব্যাবস্থা....!! এখন বলি,""নারী বলছে পুরুষ তার দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করুক আর পুরুষ অথাৎ ধর্ষক বলছে নারী পোশাক ঠিক করুক"" কেউ হার মানতে নারাজ।বোন এতে কে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে..?? ভেবেছেন...!! ফলে সমাজের এই ভয়াবহ সমস্যা দূর করা সম্ভব হচ্ছে না।বোন যে ভাত খায় সে ভাত চায়,সে কখনও ঘাস চাইবে না।এটাই হলো সাইকোলজি।আপনারা নগ্নতা দেখাবেন..!! তারা নগ্নতা চাইবে।বাধা দিবেন জোর করবে,সেটা ধর্ষণ হবে।কিন্তু জোর করার সাহসটা কোথায় পাবে...?? বোন বিকৃত মস্তিষ্কের সাহসের প্রয়োজন হয় না।নরপশুর মনুষ্যত্ব বলে কিছু থাকে না।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আচ্ছা আপনারাই বলেন..!!? পোষাক যত সহজে পরিবর্তন করা যায়,বিকৃত মস্তিষ্ক কি তত সহজে পরিবর্তনে আসবে..?? উত্তর আশা করছি...।ধর্ষণের সব কারণের সমাধান করতে হবে।তবে সবার আগে যে মেজর কারণ,নগ্নতা সেটার সমাধান আগে করতে হবে।
.
★ধর্ষণ আইনের কারণে জনজীবনে যে ধর্ণের প্রভাব পরতে পারেঃ-
ধর্ষণের আইন প্রনয়ন করা হোক,সেটা সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের চাওয়া একান্ত দরকার।আর সবার মতো সেটা আমিও চাই।ধুমপান ও ধর্ষণ দুটোই নেশা।এ দুটোই বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ।সিগারেটের প্যাকেটে লেখা থাকে,"ধুমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর" আবার লেখা থাকে "ধুমপান ক্যান্সারের কারণ"।আপনারা লক্ষ করে দেখেন।কথা দুটো বাস্তব সত্য তারপরেও মানুষ ধুমপান থেকে বাদ নেই।একটা বার ভাবেন।যদি এদেশে সিগারেট না থাকে তাহলে কি এই ধুমপান বাংলাদেশে থাকতো...?? আবেদনময়ী পোষাকের কারণে ৭০-৮০ ভাগ ধর্ষণ হয়ে থাকে।এইটা বাদ দিলে ধর্ষণ কমে যাবে ব্যাস্তানুপাতিক হারে।
আইনের কথায় আসি,বাংলাদেশ সংবিধানে লেখা আছে, ধারাটা মনে পরছে না,[সম্ভবত ৫০২ এর (ক)]যদি কোনো ব্যাক্তি নগ্ন থাকে বা নগ্নভাবে চলাফেরা করে তাহলে ৬ মাসের কারাদন্ড ও সমপরিমাণ অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।এই আইনের প্রয়োগ কতটুকু...?? উত্তর দিবেন আশা করি।এবার আসুন ধর্ষণের আইন মৃত্যুদন্ড হোক এটা আমিও চাই।এখানে একটা কিন্তু আছে।মা বা বোন পুরুষের মধ্যে যেমন ভালো ও মন্দ আছে।নারীর মধ্যেও আছে,এটা কি আপনারা বিশ্বাস করেন...??? এই আইনের ফলে সব নারী না হলেও কিছু সংখ্যক নারী নগ্নতাটা বাড়িয়ে দেবে,বেড়ে যাবে মানসিক বিকৃতি,প্রবেশ করবে অপসংস্কৃতি ,এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গেলে বা একটু তাগাদা দিতে গেলে তারা পুরুষকে হুমকির মুখে ফেলে দিবে।এটার মাধ্যমে কি নারীর অপক্ষমতায়ন হবে না..??বাংলাদেশের বিচার ও তদন্তবিভাগ কতটা স্বচ্ছ..?? এখানে কি ধর্ষকের পাশাপাশি ভদ্র পুরুষ সমাজের কিছু সংখ্যক পুরুষ ফেসে যাবে না..?? যাবেই..!! কারণ আমাকে বলতে হবে না।লক্ষ করেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি
.
★ধর্ষণ সম্পর্কে মা বোনদের কাছে কিছু প্রশ্নঃ- মা বা বোন।তোমারে ধর্ষন করছে কে...?? উত্তরে বলবেন কিছুসংখ্যক পুরুষ।বোন তোমাকে আন্দোলন করতে ডাকলো কে...?? উত্তরে বলবেন, কিছু সংখ্যক পুরুষ।আবার কিছু সংখ্যক পুরুষের সাথে হাত ধরছো,বিভিন্ন ক্লাব পপার্টিতে যাচ্ছো।কিছু হলে বলছে, সরি ইয়ার।আসল ধর্ষক কই..?? ধর্ষক এদের মধ্যেই আছে।
.
তাইতো শিল্পী বলেছেঃ-
শরীর বেচি,শরীর বেচি,
শোনেন ভদ্র লোক।
রাতের নায়ক তারাই,
যারা দিনের বিচারক।
.
★ধর্ষণ রোধ কল্পে আমার কিছু কথাঃ-
যখন সমাজের অধিকাংশ মানুষের কথা আবেদনময়ী পোশাকের কারণে ৭০-৮০ ভাগ ধর্ষণ হচ্ছে।তখন এটাই মুখ্য কারণ হিসেবে বিবেচিত।আর এই আবেদনময়ী পোশাক বয়কট করলে,৭০-৮০ ভাগ ধর্ষণ কমে যাবে।
.
[বিঃদ্রঃ-আগে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।সন্ধায় বাকী অংশ প্রকাশিত হবে।তারপর মন্তব্য করুন।]
Comments
Post a Comment