"শিক্ষা হোক গণমুখী"

আমাদের দেশে স্কুল,কলেজে পড়তে 
প্রচুর টাকা লাগে,অবশ্য সেটা 
শুধুই প্রাইভেট আর কোচিং করতেই৷ 
বাঙলাদেশ সরকার ঠিকই সুব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনে টাকার উপস্থিতি কমিয়ে দিয়েছে। 

কিন্তু প্রাইভেট আর কোচিং বাণিজ্য সরকারের মহান উদ্দেশ্যকে প্রতিনিয়ত চোখ রাঙানী দেয়। 
এটাকে আমার দেশদ্রোহীতা মনে হয়৷ 
কিছুদিন আগে,
আমাদের এখানে এক স্কুলে এসএসসিতে পোলাপানের ফর্ম ফিলাপে ৪২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে! 
এটা কেমন কথা??? 
যেখানে সরকার ১৫০০-২০০০ টাকায় ফর্ম ফিলাপ নিচ্ছে সেখানে ৪২০০ টাকা নেয় কোন যুক্তিতে! 

খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি,ওটা নাকি কোচিংয়ের জন্য নিচ্ছে৷ 

অথচ,
সরকার থেকেই কোচিং সম্পর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে হাই-কোর্টেরও আদেশ আছে৷ 

কিন্তু সেটার বাস্তবায়নে কেউ কি তৎপর??? 

আমার মনে হয় এই ব্যাপারে তৃণমল প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সরাসরি হস্তক্ষেপ জাতি কামনা করতেই পারে৷ 

বঙ্গবন্ধু একটা কথা বলেছিলেন-
"শিক্ষা হোক গণমুখী" 

সেটা কি হচ্ছে? 

প্রাইভেট,কোচিংয়ের যে রমরমা ব্যবসা খুলে বসেছে একটা চক্র তা কি গণমুখী??? 

অনেকেই যুক্তি খাড়া করতে পারেন যে,
ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে,প্রাইভেট পড়িয়ে নিজেদের খরচ চালায়। 
তাতে সমস্যা কি?? 

সমস্যা অবশ্যই আছে৷ 
প্রথম সমস্যা হচ্ছে, 
কোন প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ কখনো প্রাপ্ত জ্ঞান বেঁচতে পারেনা। 
এদেশে লাখ লাখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আছে,এদের চিন্তা কোয়ালিটি খুবই নিম্নস্তরের৷ 

এদের একমাত্র যোগ্যতা আছে,
বাসা থেকে টাকা এনে আরাম-আয়েস করা,এসাইনমেন্টের নামে মেয়েদের সাথে হাংকু-পাংকু করা,চুল স্পাইক করে আকাশে তোলা,সন্ধ্যা হলে ঝোপঝাড়ে নড়াচড়া করা আর কর্তৃপক্ষও যেনো এদের কথা ভেবে প্রায় প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়েই কাশফুলের বাগান করে দিয়েছে।

এই কথা সেদিন বলাতে একটা মেয়ে বললো-
আমি নাকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইনি বলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি৷

আমি মনে করি,
শিক্ষা কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকেনা,
শিক্ষাটাকে ওতো ক্ষুদ্র চোখে আমি ছোটবেলা থেকেই দেখিনা৷ 

আমার মগজের কোষে ১০ কোটি কোষ আছে,যার প্রতিটা কোষ=১০০ টি কম্পিউটার। 

প্রকৃতি কি আমাকে এই ১০ কোটি কোষ দিয়েছে শুধু একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে?? 

তাহলে সে যোগ্যতার থলিতে আমি আরো কিছু অদৃশ্য মূত্র বিসর্জন দিয়ে দিলাম৷ 

যাহোক ফিরে আসি কোচিং বাণিজ্যে-

সেদিন একটা আর্টিকেল পড়ে জানলাম বিদেশের মেয়েরা বেশির ভাগ সময় লাইব্রেরিতে কাটায়,নানান বই পড়ে,চিন্তা করে,গবেষণা করে এবং গুগল,নাসার মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার স্বপ্ন দেখে৷ 

সেখানকার ছাত্ররা কফিশপে আনন্দের সাথে কাজ করে,শপে কাজ করে,জমিতে কাজ করে৷ 

আর আমাদের দেশের ছাত্ররা এসব কাজকে সম্মানহানী মনে করে? 

আপনি বিশাল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,অনেক জ্ঞান আপনার কিন্তু আপনার সেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর অনেক জ্ঞান দিয়ে যদি প্রান্তুিক চাষীদের জমিখেতের কোন উন্নয়ন না হয়,যদি কৃষকদের সনাতন পদ্ধতিতে এখনো চাষ করতে হয়,যদি ধান কাটার লোকের অভাব হয়,যদি সারের অভাবে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায় তবে আপনার ওই শিক্ষাকে ভাদ্র মাসের কুত্তা দিয়ে পু*কি মারানো উচিত নয় কি??? 

আর এই কথা আমি বললেই সব দোষ আমার যে আমি পাবলিকে চান্স পাইনি তাই এসব রাগ ও ক্ষোভে বলি৷ 

হাহাহা,
জীবনে সফল হতে পাবলিক লাগেনা,
সফল হতে লাগে সততা,মেধা,প্রজ্ঞা,জ্ঞান,চেষ্টা,লক্ষ্য। 

এসব কি পাবলিকে পাওয়া যায়? 
অন্য কোথাও পাওয়া যায়না?? 

হ্যা পাবলিকে যদি পড়তাম তাহলে কিছু জিনিস পাইতাম,যেমন-
আমার আর মাস্টারবেশন করা লাগতো না,এসাইনমেন্ট করার লোভ দেখিয়ে জাস্ট ফ্রেন্ড পাতিয়ে খেয়ে দিতে পারতাম৷ 

এ ছাড়া আর কোন কিছু পেতাম বলে মনে হয় না৷ 

বিশ্বাস করুন,
এই একটা জিনিসের জন্য খুব আফসোস হয়,ইশশ যদি পাবলিকে পড়তে পারতাম তবে কাশবনে কাঁধের উপর রেখে মাগী চুদতে পারতাম ৷। 

_____
(সংক্ষেপে ছেড়ে দিলাম,অকা ??)

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

ফিঙ্গারিং

বাঁকা লিঙ্গ সোজা করার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ টিপস

☬ রক্তদানের ১৩০ টি স্লোগান ☬