যোনী ব্যবসা :

- - - - -

যোনী হচ্ছে মেয়েদের দেহের অভ্যন্তরীণ 

জরায়ু থেকে বিস্তৃত হয়ে দুই পায়ের মাঝখান পর্যন্ত গুহাবিশেষ অঙ্গ ।

এই যোনী খুবই পবিত্র ও মহান জায়গা ।

পৃথিবীর সমস্ত মহান ও কল্যাণকর মানুষের জন্ম হয়েছে ঐ যোনী থেকে ।

তাই যোনীকে আমি খুবই পবিত্র জিনিস ভাবী এবং অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখি ।

যোনী মেয়ে দেহের সবচেয়ে সেনসেটিভ অঙ্গ যে অঙ্গে পুরুষের সামান্য ছোঁয়াতে কেঁপে ওঠে সমস্ত দেহ ।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এই যোনীকে আমার আর পবিত্র ও সম্মানীয় মনে হয়না ।

এখনকার স্কুল,কলেজ ও ভার্সিটির মেয়েরা এই যোনীকেন্দ্রিক একটা অবৈধ ব্যবসা চালু করেছে,যার নাম প্রেম ।

প্রেমের মতো একটা মহান ও পবিত্র জিনিসকে নিয়ে মেয়েরা যোনীকেন্দ্রিক যে ব্যবসা খুলেছে তার ক্রেতা হচ্ছে ছেলেরা ।

হিসাবটা বুঝলেন না ?

চলুন কথার ডালা খুলে দিয়ে বুঝাই-

এখনকার মেয়েদের হাতে থাকে বড় বড় ফোন,বাপ-মা তাদের এসব তুলে দেয় ।

মেয়েরা ওসব ফোনে গরম গরম ভারতীয় নেহা কাক্কারদের গান,ভিডিও দেখে দেখে হট হয়ে যায়। 

ছেলেরা হট হলে ঝাঁকি দিয়ে বীর্য বের করে 

শান্ত হতে পারে কিন্তু ছেলেদের মতো মেয়েদের বীর্যপাত হয়না ।

যদি কোন মেয়ে বলে যে,তার যোনী দিয়ে বীর্যপাত হয়,তাহলে বুঝে নিবেন যে মেয়ে মিথ্যা বলছে ।

ছেলেদের মতো মেয়েদের সেক্স জ্বালা সহজে মেটেনা ।

উপায় না পেয়ে মেয়েরা তখন হাতের আঙুল,লম্বা বেগুন,শসা,মোমবাতি,ব্রাশ যা পায় হাতের কাছে তা গুদামঘরে চালান দিয়ে দেয় ।

বিধিবাম !

দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে ?

তেমনি যোনীর খিদে ছেলেদের লিঙ্গ ছাড়া আর কিছুতেই মেটেনা ।

ভারতীয় সিনেমা,সিরিয়াল ও হট হট গান দেখে মেয়েরা ততোদিনে এটা বেশ ভালভাবেই শিখে যায় ।

আর তাই বয়ঃসন্ধিকালীন বয়স থেকেই তারা কসমেটিক্সের দোকানে ছোটাছুটি করে 

এটা সেটা কিনে কিনে কালা মেয়েও ফর্সা হয়ে যাচ্ছে শুধু ছেলেদের লিঙ্গের স্বাদ পেতে ।

আর হ্যা,

এইসব মেয়েরা কিন্তু সব ছেলে চায়না ।

ধরুন,

আপনি ভাল ছেলে ।ছাত্র ।মানুষ ।প্রেম আপনার কাছে খুব পবিত্র ও ভাল জিনিস ।

আপনি এমন হলে সারাজীবন ঘুরলেও কোন মেয়ের মন পাবেন না-

মেয়েরা চায় টাকা,উল্টাপাল্টা ফ্যাশন,কথায় কথায় ইংরেজী বলা ও যোনীর ধান্দায় থাকা ছেলেদের,ওরা অফার দিলেই মুখে না হলেও মনে মনে রাজি হয়ে যায় ।

মেয়েরা চোখের চাহনী দেখলেই টের পেয়ে যায় কোন ছেলে ভালবাসার পাগল আর কোন ছেলে যোনীপাগল ।

তখন মেয়েরা ভাল ছেলেকে কয়দিন পিছে ঘুরিয়ে যোনীপাগল ছেলেটার সাথে চুদাচুদি করতে বসে যায় ছেলেটির বাইকে ।

মেয়েরা ছেলে খুঁজতে নিজের যোনী ব্যবহার করে ।

এই যোনীর লোভ দেখিয়ে মেয়েরা ছেলেদের বাইক কেনায়,ছেঁড়া প্যান্ট পরায়,দামী সানগ্লাস কেনায় অথচ পথের ফকির আর রিকশাওয়ালাদের কটা বেশি টাকা দেয়না,ফোস্কা খায়,দামি গিফট নেয় ইত্যাদি ।

আর যোনীপাগল ছেলেরা তো ঐ যোনী পেতে মেয়ে যা যা চায় সব করে ।

ভাল ছেলেরা ঐ যোনীর লোভ করেনা তাই মেয়েরা তাদের ভালবাসেনা ।

শুধু মাত্র যারা যোনীপাগল তাদেরই তারা মন দেয় ।

কিন্তু মেয়েরা যদি ভাল ছেলেদের প্রেমে পড়তো তাহলে তাদের কসমেটিক্সের দোকানে যেতে হতোনা,যেতে হতো বইয়ের দোকানে ।

তাহলে এদেশে ঝাঁকে ঝাঁকে জন্ম নিতো বেগম রোকেয়া,সুফিয়া কামাল,জাহানারা ইমামদের মতো গুণী নারীদের ।

মেয়েরা যদি তাদের যোনী নিয়ন্ত্রণ করতো,যদি বিয়ের আগে যোনি চুশাতে না চাইতো তাহলে অসংখ্য সুন্দর প্রেমের জন্ম হতো বাঙলাদেশে। 

তাহলে হলের বাথরুমে,ট্রেন লাইনে আর ড্রেনে কোন শিশু পাওয়া যেতোনা,তাহলে ফার্মেসীতে কোন যুবক কনডম কিনতে যেতোনা,তাহলে যোনি পবিত্র ও সম্মানে পূর্ণতা পেতো৷ জন্ম নিতো হাজার হাজার জ্ঞানী ও গুণীর৷ 

বাঙালী মেয়েদের যোনি খুব দামী জিনিস,১৯৭১ এই যোনী বিসর্জনেই এসেছিলো ওই লাল-সবুজের পতাকা৷ 

এই যোনী ব্যবসা বন্ধ করুন,

দেশকে ও ভাল ছেলেদের ভাল বাসুন । 

তাহলে বাঙলা ও বাঙলাদেশ এই পৃথিবীর বুকে একদিন সামষ্টিক উন্নয়ন নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবে। 

_______