প্রেম করার চেয়ে মুরগী পালা ভালো

-----------

যে অনুভূতি দুই পায়ের মাঝখান থেকে উঠে এসে
দুটি বিপরীত লিঙ্গকে কাছে টেনে আনে তাকে প্রেম বলে ।

আমার এই প্রেমের সংজ্ঞায় স্বর্গের
কোন উপাদান নেই ।
স্বর্গ থেকে আসা প্রেম অনেক আগেই এই দেশে থেকে বিলুপ্ত
হয়ে গেছে ।
আপনি স্বীকার করেন অথবা
না করেন,
বর্তমানে প্রেমপিরিতির ৯০ ভাগই আমার দেওয়া সংজ্ঞায় চালিত ।

যাহোক,
"প্রেম করার চেয়ে মুরগী পালা
ভালো" এটি একটি বহুল প্রচলিত মুখরোচক কথা ।
এই কথাটি ছেলেদের মুখেই
বেশি শোনা যায় ।
সৃষ্টিলগ্ন থেকে ছলনাময়ী নারীদের ছেলেরা বুঝতে ব্যর্থ হয় আর যার কারনে এই কথা বলতে শোনা যায় বেশি ।

আমরা যারা এই কথাটি বলি তারা কি আদৌ এর প্রকৃত অর্থ বা অন্তর্নিহিত বাণী জানি ?
জানিনা ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ।
আজকে আমরা
"প্রেম করার চেয়ে মুরগী পালা ভালো" এই বহুল প্রচলিত বাক্যটির ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ
জানবো ।
উল্লেখ্য,
এই ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শুধুমাত্র ছেলেদের উপকারের জন্য :v -

মনে করুন,
আপনি একটা সিঙ্গেল ছেলে  ।
আপনার হঠাত্‍ করে মনে হলো আপনার প্রেম করা উচিত ।
এখনকার যুগের মেয়েদের সাথে প্রেম করতে যে টুকটাক ফিটফ্যাট হতে হয় আপনি তাই হলেন ।
চামরার সুবাস ছড়ানো কোন
মেয়েকে দেখে আপনার পছন্দ
হয়ে গেলো ।
মনে করি,
সেই মেয়েটির নাম বিলাসী ।
পোস্টের শুরুতে আমি একটা কথা কিন্তু বলেছি যে,সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মেয়েরা ছলনাময়ী ।
বিলাসীও তার উর্ধ্বে নয় ।
বিলাসী এ যুগের মেয়ে ।
স্তন,পাছা,চামরা হচ্ছে তার
গ্ল্যামার্সের পুঁজি ।
আপনি একটা গ্ল্যামার্স প্রিয় ছেলে,বিলাসীও একটা গ্ল্যামার্স
প্রিয় মেয়ে ।মিলে গেলো ?
আপনি ভেবেই নিয়েছেন বিলাসী আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাবে ।
হ্যা খাবে,তবে তার আগে বিলাসীও আপনাকে একটু খেতে চায় ।
আপনি যতো তার পিছনে ঘুরবেন তার ভাব ততো বাড়বে ।
এর অর্থ হচ্ছে,তোমাকে বাইক কিনতে হবে,তাকে দামী দামী গিফট দিতে হবে ।
যেহেতু তোমার দেহে প্রেমের বাতাস বয়ে চলেছে ।
অতঃপর তুমি তাই তাই করলে ।
আর তাই বিলাসীও তোমার প্রেমে ঝাঁপিয়ে পড়লো ।

এবার তোমার পালা ।
বিলাসীকে তোমার খেতে হবে ।
যেহেতু তুমি বিলাসীর মন দেখে প্রেম করোনি,এখনকার মেয়েদের মনে ভাল লাগার কিছুই থাকেনা ।থাকে তাদের শরীরে,তাদের স্তন,কোমড়,চামড়াতে ।
আর তাই মেয়েরা এসবকে গ্ল্যামার্সময় করে তোলে ।
তুমি অনেক কষ্টে বিলাসীর এসব কিছু হাতে পেয়েছো ।বহু আরাধ্যের জিনিস তোমার ।
এবার তোমার এগুলি উপভোগ
করার পালা ।

তুমি কথাবার্তায় বিলাসীকে তাই বোঝাতে চাইলে,বিলাসী তা বুঝে গেল ।
আগেই বলেছি মেয়েরা ছলনাময়ী ।বিলাসী বুঝে গেছে তুমি তাকে খেতে চাও ।বিলাসী এ যুগের গ্ল্যামার্সময় মেয়ে ।সেও চায় একটু যৌন সুখ পেতে,একটু ঘাম ঝরাতে,একটু অবৈধ্যতার স্বাদ নিতে ।
কিন্তু বিধি বাম !
বিলাসী এবার তোমাকে চিবিয়ে খাবে ।
তোমাকে তাকে নিয়ে ফোস্কার দোকানে যেতে হবে,মার্কেটে যেতে হবে,তাকে দামী দামী গিফট দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক আবদার মেটাতে হবে তোমার ।
তুমিও লক্ষী ছেলের মতো তাই ই করবে কারন তোমার তার শরীরটা যে যেকোন কিছুর বিনিময়ে চাই ই চাই ।

অবশেষে বিলাসী রাজি হলো ।
তোমরা দুজনে গোপনে সেক্স
করলে ।
অতি উন্মাদনায় কনডম কিনতে ভুলে গেছিলে ।তাই সেক্স শেষে
ফার্মেসী থেকে এক পাতা পিল
কিনে বিলাসীর হাতে ধরিয়ে
দিয়ে তাকে বাসায় পাঠিয়ে
দিলেন ।
এরপর থেকে নিয়মিত দুজনে
মিলিত হতেন আপনারা ।
দেখুন,
আমি যতোদূর জানি অধিকাংশ ছেলেই এই আশংকায় সেক্স করে যে,মেয়েটা তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে,যদি সেক্স করি তাহলে আর যাবেনা ।
তবে এ সংখ্যার ছেলেরাও আশংকাজনক হারে কমতে শুরু করেছে ।দেহভোগটাই এখন মূখ্য উদ্দেশ্য হয়ে গেছে ।
এটাতে যতোটা না ছেলেদের দোষ,তার চেয়ে দ্বিগুন দোষ মেয়েদের ।মেয়েরা এখন দেহদান করতে চায় ।মনের সৌন্দর্য থেকে তাদের কাছে বেশি দামী শারীরিক সৌন্দর্য ।
এর উত্‍কৃষ্ট প্রমাণ,বইয়ের দোকানের চেয়ে মেয়েদেরকে বেশি দেখা যায় কসমেটিক্স আর পার্লারে ।এতে অবশ্য ছেলেদের দোষ আছে ।তারা মেয়েদের মনের সৌন্দর্যের চেয়ে শারীরিক সৌন্দর্য ও যৌন আবেদনময়ীতা বেশি চায় ।মেয়েরাও তাই সেভাবে নিজেদের সাজায় ।
তবে একটা কথা আমি প্রায়ই বলি,
কয়েক শতক মহাপুরুষ জন্ম দেওয়া ব্যতীত এই পৃথিবী ও সভ্যতার কোন কাজে লাগেনি মেয়েরা ।বরং সভ্যতাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তারা ।
আরো বড় সত্যি কথা হচ্ছে,
এখনকার যুগের মেয়েদের বিশেষ করে আমাদের দেশের মেয়েদের মন ও গর্ভ দুটোই গুণীজন ও প্রতিভাবান সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম ।তাদের নষ্ট মন ও নষ্ট গর্ভ থেকে আরো নষ্ট মন ও গর্ভের জন্ম হচ্ছে ।
সে কথা আজ থাক ।অন্য একদিন শোনাবো ।

এখন প্রসঙ্গে ফিরে আসি ।
আপনার প্রেমিকা অর্থাত্‍ বিলাসীর সাথে আপনার কয়েকবার সেক্স হয়েছে ।
আপনার আর বিলাসীর প্রেম এখন পুরোনো হয়ে গেছে  ।
তাই আগের মতো বিলাসীকে গিফট দেন না,সেক্সের সময় বেশিক্ষণ করতে পারেন না,
আগের মতো বিলাসীকে বাইকে বসিয়ে উড়াল দিতে পারেন না-বিলাসী এখন তাই ই মনে করে ।
তার নতুন কিছু চাই ।
নতুন গিফট,নতুন দেহ,নতুন
লিঙ্গ,নতুন স্টাইলে সেক্স ইত্যাদি ইত্যাদি ।এবার শুরু আপনার দুঃখের দিন ।আপনার চোখের
সামনে দিয়েই বিলাসী চলে
যাবে ।
যে সেক্স করে আপনি বিলাসীকে আঁটকাতে চেয়েছিলেন,সেই সেক্স বিলাসীকে হিংস্র করেছে ।
বিলাসীরা মোহাচ্ছন্ন ও লোভী হয়-আপনি তা ধরতে ব্যর্থ ।
আপনার জীবন-যৌবন,অর্থ,চরিত্র সব শেষ !
আপনি নৈতিক,সামাজিক,প্রাকৃতিক,
মানসিক সব ভাবেই পরাজিত ।

এবার চলুন প্রেম না করে ঐসময় যদি মুরগী পালতেন তবে কি হতো জেনে নেই-
বাজার থেকে কটা মুরগী কিনে আনলেন ।
ছোট্ট একটা খামার করলেন ।কিছুদিন পর মুরগীতে ডিম দিতে লাগলো ।কিছু ডিম বিক্রি করলেন আর বাকী ডিম বেঁচে আরো মুরগী কিনলেন ।এবার খামারটা বড় করলেন ।এভাবে ডিম বেঁচে আপনার খামার বড় হতে লাগলো ।একসময় ডিম আর মুরগী দুটোই বেঁচলেন ।৪-৫ বছর আপনার আয় হবে মাস প্রতি লক্ষাধিক ।তখন নারী,সেক্স,অর্থ,বিলাসীতা সব আপনার পায়ে এসে লুটে পড়বে ।
আপনি হবেন ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যবসায়িক আইডল ।
তখন নৈতিক,মানসিক,জৈবিক সব ভাবেই আপনি বিজয়ী হবেন ।

তাহলে বুঝলেন তো কেন-
প্রেম করার চেয়ে মুরগী পালা
ভালো ??

Comments

Popular posts from this blog

ফিঙ্গারিং

বাঁকা লিঙ্গ সোজা করার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ টিপস

☬ রক্তদানের ১৩০ টি স্লোগান ☬