সুন্দরীদের জীবনচক্র


-----------------------

সুন্দরীদের আমরা সবাই
খুব ভালবাসি ।
সুন্দরী বউ/গার্লফ্রেন্ড/
বান্ধবী-যদি পাই তাহলে যেমন
ভালবাসি,না পেলে
আরো বেশী করে
ভালবাসি ।

সুন্দরী দেখলেই আমরা
শীষ বাজিয়ে,
বিচিত্র অংগভংগী করে,
চিঠি,কবিতা লিখে
এমনকি ফেসবুকে লিখেও
আমরা আমাদের দিলের
মুহাব্বতের কথা জানান
দিতে চাই ।

কিন্তু ওই দিক থেকে যখন
প্রত্যাশিত সাড়া পাইনা
তখনি আমরা রেগে হই,
সুন্দরীদের উপর নানা
অপবাদ দেই-
তারা দেমাগী,
ভাব বেশি....
হেন তেন ইত্যাদি ।

এই প্রথমবারের মত
সুন্দরীদের জীবনকে
সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও
সহানুভূতির দৃষ্টিতে
বিশ্লেষণ করার একটা
প্রচেষ্টা চালাতে যাচ্ছি ।
......

সুন্দরীদের শৈশবঃ-

সুন্দরীদের শৈশব কাটে
মিশ্র এক অভিজ্ঞতার মধ্য
দিয়ে যার মধ্যে ভাল-খারাপ
দুইই আছে ।

ভাল হচ্ছে তারা সবার
কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে
মনোযোগ,আদর,আহ্লাদ,
গিফট ইত্যাদি পেতে
শুরু করে ।

খারাপ দিক হচ্ছে এই
সময় তারা খুব কাছের
কিছু আত্নীয় স্বজন বা
পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ
থেকে অপ্রত্যাশিত
আচরণের সম্মুখিন হয় ।

এই আচরণগুলো মধ্যে
রয়েছে মন্দ আদর,
হালকা চুমুর পরিবর্তে
গভীর চুমু,শরীরের
সংবেদনশীল জায়গা
গুলোতে হাত দেয়া
ইত্যাদি ।

গার্ডিয়ানদের পক্ষ থেকে
সচেতনতার অভাব
থাকলে এই সমস্ত
অনাকাংখিত ঘটনা
অনেক বেশী করে ঘটতে
পারে এবং এতে করে
সুন্দরীদের মনোজগতে
এক ধরণের পরিবর্তণ
আসতে থাকে ।

মানুষের প্রতি বিশ্বাস
তাদের কমে যায় এবং
তারা অনেক বেশী
প্রোটেকটিভ হয়ে পড়ে ।
আমার অভিজ্ঞতায়
দেখেছি সুন্দর একটা বাচ্চা
মেয়েকে কোলে নিলে কিছু
কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত হিংস্র
ভাবে আঁচড়ে বা চিমটি
দিয়ে নিজেকে ছুটিয়ে নেয়ার
চেষ্টা করেছে ।

তবে সব মিলিয়ে সুন্দরীদের
মনে এখন থেকেই তারা
যে সুন্দরী এই ব্যাপরটা
গেঁথে যেতে থাকে এবং
তারাও তৈরী হতে থাকে
বাকী দুনিয়ার মুখোমুখি
হওয়ার জন্য ।।

সুন্দরীদের কৈশোরঃ-

বাস্তবতার মুখোমুখি
এই সময় সৌন্দর্য্যের
ফুলগুলো পাঁপড়ি মেলে
আস্তে আস্তে গ্রাস করতে
থাকে সুন্দরীদের ।
স্বাভাবিক ভাবেই দেখা
দেয় নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যার মধ্যে রয়েছে স্কুলে
যাওয়ার পথে বখাটেদের অত্যাচার,
চলার পথে সম বা
অসম নির্বিশেষে সকলের
লোলুপ দৃষ্টি,
পাশের বাড়ির খালাম্মাদের
অগ্রিম বুকিং
(নিজের ছেলে বা
বিবাহযোগ্য আত্নীয়ের জন্য) ইত্যাদি ।

সত্যি কথা একটু তেঁতো
হলেও বলতে হয় যে-
এ সময় সুন্দরীদের
"মাল" খেতাব পেতে হয় ।

অনেক সময় স্কুল ছাড়া
বাইরে বেরুনোই দায়
হয়ে যায় ।
পিচ্চি পুচ্চিকিরা ডাক
পিয়ন সেজে হাতে গুঁজে
দিয়ে যায় অচেনা
কারো চিঠি ।
বিকেলে একটু ছাদে
গিয়ে দাঁড়ালে আশে
পাশে অগণিত ভক্তের
উপস্থিতি টের পাওয়া
যায় ।

আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি-
অনেকের বাবা বা অন্য
কোন গার্ডিয়ান পার্টটাইম
দেহরক্ষী হয়ে স্কুলে দিয়ে
যান বা নিয়ে যান,
অনেকের বিয়েও হয়ে
যায় অকালে ।
তবে সবার ভাগ্য এত
খারাপ হয়না ।
কিছু কিছু সুন্দরী এই
সময় ভাল খেলোয়াড়
হয়ে ওঠে ।
নাকে দঁড়ি দিয়ে
ঘোরাতে থাকে অনেক
ভক্ত কুলকে ।
ফ্রি ফাস্টফুড আর
আইসক্রিম খাওয়ার
সু অভ্যাস গুলো গড়ে
উঠতে থাকে ।
বার্থডে, নববর্ষ,
ভ্যালেন্টাইন ইত্যাদি
দিবসে উপহারের পাহাড়
জমতে থাকে ।

সুন্দরীরা প্রচুর
পরিমাণে টক খায় বিশেষ
করে তেঁতুলের আঁচার/চাঁটনী
ইত্যাদি ।

সুন্দরীদের তরুণীবেলাঃ-

মজজাই মজা...... :-D
ওরে ওরে মজজাই মজা 😋

সুন্দরীদের তরুণীবেলা
শুরু হয় স্কুল জীবন
শেষ করার পর আর
শেষ হয় বিয়ের সাথে
সাথে অথবা পড়ালেখা
শেষ করার পর ।
পাড়ার স্কুল থেকে
সুন্দরীরা আসে কলেজে
যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই
তারা সহশিক্ষার সাথে
প্রথম বারের মত
পরিচিত হয় ।।
রূপের খ্যাতি ছড়িয়ে
পড়ে আরো বৃহত্তর
পরিসরে,
এতদিন ডিস্টার্ব
করতো পাড়ার
পাতি মাস্তান,
এবার শহরের টপ
টেররদের নেক নজর
পড়তে থাকে,
বডিগার্ড হিসেবে
বাপ-চাচাদের নিয়ে
আসা আর সম্ভব হয়না
কারণ এতে সবার হাসির
পাত্র হয়ে যাবার ভয় আছে ।

সবমিলিয়ে সুন্দরীরা এক
ধরণের নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগতে থাকে ।
আর এই নিরাপত্তাহীনতার সবচেয়ে সহজ সমাধান
হচ্ছে নেতা টাইপ কারো
সাথে প্রেম করা ।
সুন্দ্রী মেয়েরা এসময়
প্রচুর প্রেমের অফার পায় ।
প্রেমিক বাছাই সুন্দরীদের তরুণীবেলার সবচেয়ে
ক্রিটিকাল সিদ্ধান্ত ।
যারা এসময় ভুল করে
'স্মার্ট' প্রেমিক বাছাই
করে কিছুদিন পর
তাদের অন্তরঙ্গ ছবি
বা ভিডিও ইন্টারনেট
অথবা মুঠোফোনে
পাওয়া যায়,
ক্লিনিকে 'বিশেষ কাজে'
যেতেও হয় কিংবা
ভাগ্য বেশী খারাপ হলে
এর চেয়েও বেশী লাঞ্ছনার
মধ্যে গিয়ে পড়তে হয় ।
তাই এ সময় চালাক
সুন্দরীদের লক্ষ্য থাকে-
অপেক্ষাকৃত হাবাগোবা
টাইপ ছেলেদের সাথে প্রেম
করা যাদের কাছে চোখের
দিকে তাকানোটা ৮ মাত্রার
ভূমিকম্পের মতো
অবশেষে আসে বিয়ের
মাহেন্দ্র ক্ষণ ।

সুন্দরীরা এই সময়
বাবা-মা'য়ের একান্ত
বাধ্যগত সন্তানে পরিণত
হয়ে যান ।
কোন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার বা টাকাওয়ালার গলায় পরম খুশীতে মালা
পড়িয়ে দেন ।
যেন এটাই জীবনের
একমাত্র লক্ষ্য ছিলো
(হয়তো আসলেই ছিল)।

বোকা টাইপ প্রেমিক
কিছুদিন হায় হায় করে ।
তারপর সুন্দ্রীর বিয়ে
হয়ে যায় ।
বিয়ের পর বোকা প্রেমিক
কবি হয়ে যায় ।
গান লেখে,কবিতা লেখে,
কখনো কখনো উপন্যাসও
লিখে ।
তার হাত দিয়ে বের
হয়ে আসতে থাকে কালজয়ী
সব সাহিত্য ।
কিন্তু আমরা খোঁজ রাখিনা নেপথ্যের প্রেরণা দাত্রী সেই সুন্দরীর !
এ কিন্তু আমাদের ভারী
অন্যায় !!

The End ☺

Comments

Popular posts from this blog

ফিঙ্গারিং

বাঁকা লিঙ্গ সোজা করার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ টিপস

☬ রক্তদানের ১৩০ টি স্লোগান ☬