একটি বেগুনের আত্মকাহিনী
আমি একটি বেগুন ।
আমি প্রথমে জন্মেছিলাম সিলেটের :-D এক বাড়ির পাশের ছোট্ট ক্ষেতে ।
সেখানেই আস্তে আস্তে বেড়ে উঠি আমি।আমি লম্বা জাতীয় বেগুন ।
একসময় আমি আর আমার অন্যান্য ভাইয়েরা বড় হয়ে যাই ।
একদিন সকালে হঠাত্ শুনলাম বাড়ির গিন্নি কাকে জেনো বলছে-
কৈতুরী,মা কয়টা বেগুন ছিঁড়ে দে তো ।ভর্তা দিবো ।
আমরা তখন অপেক্ষা করা শুরু করলাম সিদ্ধ হওয়ার জন্য ।
খুব খারাপ লাগছিল ।ইচ্ছে করছিল আরো কিছুদিন ঝুলে থাকতে ।কি আর করা ।এটাই আমাদের জীবন ।
একটা মেয়েকে দেখলাম লাফাতে লাফাতে আসতে ।এই কি সেই কৈতুরী রাতভর যার ফোনে কথার জন্য ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি কারন আমি যে গাছে জন্মেছি সেটা যে জানালার পাশে সেই ঘরটাতে হয়তো এই কৈতুরীই থাকতো ।
সদ্য কলেজ পাশ করেছে ।ভার্সিটি না কিসের যেনো এডমিশন পরীক্ষা দিবে সে ।তাই নিয়ে বাড়ির কর্তা আর গিন্নি সারাদিন কৈতুরীরে পড়তে বলে ।
আর কৈতুরী রাতভর ফোনে কথা বলে ফিঁসফিঁস করে ।কিসব নোংরা কথা বলে ।আর সারারাত আহ উহ আহ শব্দ করে ।
ছিহ !শুনলেই কেমন যেনো লাগে ।
কৈতুরী এসে আমাদের গাছটার সামনে দাঁড়ালো ।তারপর একটি ঝুড়িতে আমাদের ছিঁড়ে রাখলো ।
আমাকে ছেঁড়ার সময় কৈতুরী কেমন যেনো মুচকি একটা হাসি দিলো ।তারপর একটু এদিক ওদিক তাকালো ।তারপর তাড়াতাড়ি আমায় ছিঁড়ে বুকের জামার ভেতর রেখে দিলো !
সেখানে অনেক অন্ধকার আর কেমন একটা মিষ্টি ঘ্রাণ ।
নিজেকে তখন স্বার্থক মনে হচ্ছিল ।কৈতুরী আবার মনে হয় লাফাতে লাফাতে যাচ্ছিল,ইয়া বড় বড় কি যেনো দুইটা আমাকে চেপে ধরতেছিল !
আমার খুব ভয় করছিল,আমার অন্য ভাইরাও বা কোথায় গেলো ।
কিছুক্ষণ পর শব্দ এলো-
আম্মু এই নাও বেগুন ।আমি পড়তে বসলাম গিয়ে ।
তারপর কৈতুরী মনে হয় তার পড়ার টেবিলে এসে বসলো ।
তারপর আমাকে বুক থেকে বের করে টেবিলের উপর রাখলো ।
আমার দিকে তাকিয়ে কেমন যেনো দুষ্টু দুষ্টু হাসি দিচ্ছিল ।সেই হাসি দেখে অনেক ভয় লাগতেছিল ।ইচ্ছে করছিল পালিয়ে যেতে কিন্তু আমি যে একটা বেগুন ! হাঁটতে পারিনা ।
তারপর সন্ধ্যে হলো একসময় ।টেবিলেই পড়েছিলাম একটা খাতার নীচে ।এরপর রাত হলো তারপর আরো রাত হলো ।একসময় চারদিকে সুনসান নীরব হয়ে গেল ।
হঠাত্ কৈতুরীর কন্ঠ শুনলাম !
মনে হয় মোবাইলে কথা বলতেছে ।আস্তে আস্তে কথার গভীরতা বাড়তে থাকে ।একসময় কৈতুরী যেনো কেমন উন্মাদের মতো কথা বলতে থাকে ।আমার ভয় করতে থাকে ।
তারপর হঠাত্ ঘরের বাতি জ্বলে উঠলো !
আমার উপর থেকে খাতা সরে গেলো ।
কৈতুরীর মুখ তখন লাল টুকটুকে,ঘন ঘন শ্বাস ফেলতেছে !
আমার দিকে কেমন যেনো শক্ত করে তাকিয়ে আছে ।
তারপর এক হাত দিয়ে আমাকে তুলে নিলো !
তারপর যা শুরু করলো আমি আর তা বলতে পারবো না ।
শত হলেও,লজ্জা বেগুনের ভূষণ :-D
আমি প্রথমে জন্মেছিলাম সিলেটের :-D এক বাড়ির পাশের ছোট্ট ক্ষেতে ।
সেখানেই আস্তে আস্তে বেড়ে উঠি আমি।আমি লম্বা জাতীয় বেগুন ।
একসময় আমি আর আমার অন্যান্য ভাইয়েরা বড় হয়ে যাই ।
একদিন সকালে হঠাত্ শুনলাম বাড়ির গিন্নি কাকে জেনো বলছে-
কৈতুরী,মা কয়টা বেগুন ছিঁড়ে দে তো ।ভর্তা দিবো ।
আমরা তখন অপেক্ষা করা শুরু করলাম সিদ্ধ হওয়ার জন্য ।
খুব খারাপ লাগছিল ।ইচ্ছে করছিল আরো কিছুদিন ঝুলে থাকতে ।কি আর করা ।এটাই আমাদের জীবন ।
একটা মেয়েকে দেখলাম লাফাতে লাফাতে আসতে ।এই কি সেই কৈতুরী রাতভর যার ফোনে কথার জন্য ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি কারন আমি যে গাছে জন্মেছি সেটা যে জানালার পাশে সেই ঘরটাতে হয়তো এই কৈতুরীই থাকতো ।
সদ্য কলেজ পাশ করেছে ।ভার্সিটি না কিসের যেনো এডমিশন পরীক্ষা দিবে সে ।তাই নিয়ে বাড়ির কর্তা আর গিন্নি সারাদিন কৈতুরীরে পড়তে বলে ।
আর কৈতুরী রাতভর ফোনে কথা বলে ফিঁসফিঁস করে ।কিসব নোংরা কথা বলে ।আর সারারাত আহ উহ আহ শব্দ করে ।
ছিহ !শুনলেই কেমন যেনো লাগে ।
কৈতুরী এসে আমাদের গাছটার সামনে দাঁড়ালো ।তারপর একটি ঝুড়িতে আমাদের ছিঁড়ে রাখলো ।
আমাকে ছেঁড়ার সময় কৈতুরী কেমন যেনো মুচকি একটা হাসি দিলো ।তারপর একটু এদিক ওদিক তাকালো ।তারপর তাড়াতাড়ি আমায় ছিঁড়ে বুকের জামার ভেতর রেখে দিলো !
সেখানে অনেক অন্ধকার আর কেমন একটা মিষ্টি ঘ্রাণ ।
নিজেকে তখন স্বার্থক মনে হচ্ছিল ।কৈতুরী আবার মনে হয় লাফাতে লাফাতে যাচ্ছিল,ইয়া বড় বড় কি যেনো দুইটা আমাকে চেপে ধরতেছিল !
আমার খুব ভয় করছিল,আমার অন্য ভাইরাও বা কোথায় গেলো ।
কিছুক্ষণ পর শব্দ এলো-
আম্মু এই নাও বেগুন ।আমি পড়তে বসলাম গিয়ে ।
তারপর কৈতুরী মনে হয় তার পড়ার টেবিলে এসে বসলো ।
তারপর আমাকে বুক থেকে বের করে টেবিলের উপর রাখলো ।
আমার দিকে তাকিয়ে কেমন যেনো দুষ্টু দুষ্টু হাসি দিচ্ছিল ।সেই হাসি দেখে অনেক ভয় লাগতেছিল ।ইচ্ছে করছিল পালিয়ে যেতে কিন্তু আমি যে একটা বেগুন ! হাঁটতে পারিনা ।
তারপর সন্ধ্যে হলো একসময় ।টেবিলেই পড়েছিলাম একটা খাতার নীচে ।এরপর রাত হলো তারপর আরো রাত হলো ।একসময় চারদিকে সুনসান নীরব হয়ে গেল ।
হঠাত্ কৈতুরীর কন্ঠ শুনলাম !
মনে হয় মোবাইলে কথা বলতেছে ।আস্তে আস্তে কথার গভীরতা বাড়তে থাকে ।একসময় কৈতুরী যেনো কেমন উন্মাদের মতো কথা বলতে থাকে ।আমার ভয় করতে থাকে ।
তারপর হঠাত্ ঘরের বাতি জ্বলে উঠলো !
আমার উপর থেকে খাতা সরে গেলো ।
কৈতুরীর মুখ তখন লাল টুকটুকে,ঘন ঘন শ্বাস ফেলতেছে !
আমার দিকে কেমন যেনো শক্ত করে তাকিয়ে আছে ।
তারপর এক হাত দিয়ে আমাকে তুলে নিলো !
তারপর যা শুরু করলো আমি আর তা বলতে পারবো না ।
শত হলেও,লজ্জা বেগুনের ভূষণ :-D
Comments
Post a Comment